মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১২টি উপায় 1

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়ঃ

দৈনন্দিন জীবনে বেশিরভাগ সময় যদিও আমরা অফলাইন দুনিয়ায় কাটাই। তবে ইন্টারনেট দুনিয়া আমাদের জীবনের একটি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ইন্টারনেট দুনিয়াতে আপনি চাইলে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এখন এই অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায়? তা নিয়ে যদি মনে সন্দেহ জাগে, তবে সম্পূর্ণ ব্লগ পড়ার জন্য আমি আপনাকে অনুরোধ করবো।

বাস্তবতার মাঝে হয়তো ইনকাম করার মধ্য দিয়ে পারিবারিক অসচ্ছলতা পুরোপুরি দূর হচ্ছে না। তার জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ে গিয়ে অনলাইনে আয় করার চিন্তা-ভাবনা করতে পারেন। এতে করে অপশনাল আয় করার সুযোগ থাকে। এবং পারিবারিক অসচ্ছলতা পুরোপুরি দূর হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় নিয়ে আমি এই পোষ্টটি লিখেছি। উল্লেখিত ধারা অনুযায়ী একমাত্র যথার্থ আয় করার উপায়ই আমি উল্লেখ করছি।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১২টি উপায়
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার ১২টি উপায়

১) ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে সব সময় জনপ্রিয়তায় শীর্ষে ছিল। এখানে বিভিন্ন অপশন আছে ইনকাম করার জন্য। একজন মানুষের বিভিন্ন জায়গায় দক্ষতা থাকে। ফ্রিল্যান্সিং টাস্ক গুলো আপনি ইন্টারনেট একটু ঘাটাঘাটি করলেই পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ কি কি কাজ ফ্রিল্যান্সিংয়ে অ্যাভেলেবল আছে? সেসব জিনিস।

বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফ্রিল্যান্সিং টাস্ক প্রদান করে তাদের ব্যবহারকারীদের মাঝে। এতে করে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে উপার্জন শুরু করার পূর্বে বেশিরভাগ লোক বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং টাস্কের উপর কোর্স সম্পন্ন করে। অথবা সে বিষয়ে ব্যাপক ধারণা রাখে।

তারপর ধীরে ধীরে কাজ করা শুরু করে। এজন্য প্রথমে ফ্রীলান্সিং যে কোন একটি ওয়েব সাইটে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। তাছাড়া নির্ধারিত কোনো টাস্কে নিজের একাউন্ট থেকে এ্যাপ্লাই করতে হবে। মানে ওই কাজটি তে এপ্লাই করতে হবে, যেটিতে আপনি দক্ষ।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিছু ভালো ওয়েবসাইট এর মধ্যে আছে Outfiverr.com, upwork.com, freelancer.com, and worknhire.com। এরা আপনাকে ফ্রীলান্সিং জব প্রদান করবে। এসব ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে আপনি ৫ থেকে শুরু করে ১০০ ডলার সহজে ইনকাম করতে পারবেন দৈনিক।

তবে মনে রাখা উচিত, তখনই আপনি নিজের ইনকাম গ্রহণ করতে পারেন। যখন কোনো একটি টাস্ক সফলভাবে সম্পন্ন করবেন। ক্লায়েন্টদের দেয়া বিভিন্ন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করবেন। এমনকি সে কাজটি ক্লায়েন্টদের দ্বারা এপ্রুভড হতে হবে।

অর্থাত এর মানে দাঁড়ায় এই যে কোন একটি কাজ করার পর সেটি বারবার হয়তো রিভাইস দিতে হবে, যতক্ষণ না ক্লায়েন্টের চাহিদা মিটছে। কিছু ওয়েবসাইট হয়তো আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে একটি পেপাল একাউন্ট সেটআপ করার জন্য। অথবা পেওনারের মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট আপনি টাকা উইথড্র করাতে পারবেন।মাসে যদি ৫০০০০ বা তার উপরে উপার্জন করতে চান, তবে ফ্রীল্যান্সিং সর্বোত্তম। তবে মনে রাখতে হবে, ফ্রীল্যান্সিং দিন দিন কম্পিটিটিভ হয়ে দাড়াচ্ছে।

২) নিজের ওয়েবসাইট শুরু করুন।

অনলাইনে যথেষ্ট ভালো ম্যাটারিয়াল ও টুলস আছে যেকোনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য। যার সর্ব প্রধান উদাহরণ ওয়ার্ডপ্রেস। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে যে কোন একটি ভালো ওয়েবসাইট নিমিষেই তৈরি করে নিতে পারবেন। অথবা তৈরি করাতে পারবেন। নিজের একটি ওয়েবসাইট চালু করে সেখান থেকে ইনকাম করার +হরেক রকম উপায় আছে।নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে এড ব্যবহার করে মাসিক ৫০ হাজার উপার্জন করা সবচেয়ে সহজ উপায়।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য সাধারনত ডোমেইন, টেমপ্লেট, লেআউট কাস্টমাইজ, হোস্টিং এসবের প্রয়োজন আছে। অথবা কিছু কিছু ব্লগিং ম্যাটারিয়াল আছে যারা ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করার সুবিধা প্রদান করে। যেমনঃ গুগল ব্লগার। নিজের ওয়েবসাইট যখন পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। পাশাপাশি কিছু ভিজিটর আসবে। যারা আপনার ওয়েবসাইটের লেখা, বিভিন্ন বিষয় বস্তু বা আপলোড করা বিভিন্ন বিষয় বস্তু পছন্দ করে।

এরপর ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইট উন্নতি হবে। এবং আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য সাইন আপ করতে পারেন, যাতে করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন বসাতে পারেন। সে বিজ্ঞাপন থেকে আপনি রীতিমত দৈনিক উপার্জন করে নিতে পারেন। এর মানে যত বেশি ভিজিটর ও পেজ ভিউ আসবে, ততই উপার্জন করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

৩) এফিলিয়েট মার্কেটিং।

পূর্বের ধাপে আমি বলেছিলাম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে চাইলে উপার্জন শুরু করা যায়, তাও আবার অনলাইনে। ধরে নিলাম যে, আপনার ওয়েবসাইট তৈরী হয়ে গেল। এখন সে ওয়েবসাইটে চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা এই যে, আপনি কোন পণ্য অথবা সার্ভিস যখন নিজের ওয়েবসাইটে প্রমোট করবেন। তার পাশাপাশি একটি এফিলিয়েট লিংক দিয়ে রাখতে পারেন। সেই এফিলিয়েট লিংক এ ক্লিক করে কোনো ভিজিটর যদি সে সার্ভিস অথবা পণ্যটি ক্রয় করেন নেয়। তবে তার থেকে একটি নির্দিষ্ট লভ্যাংশ আপনাকে প্রদান করা হবে।

৪) সার্ভে করে আয়, অনলাইনে রিসার্চ ও রিভিউ।

বাংলাদেশ জরিপ পূরণ করে আয় করার ব্যাপারটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছে আগের তুলনায়। বিভিন্ন মার্কেট রিসার্চাররা সর্বপ্রথম ক্লায়েন্টের চাহিদা গ্রহণ করে বিভিন্ন জরিপ ওয়েবসাইট থেকে। যার মধ্যে আছে, swagbucks, my points, survey junkie ইত্যাদি।

ওয়েবসাইটগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে ভিন্ন আইপি এড্রেস দিয়ে আপনি বিভিন্ন দেশের নামধারী পরিচয় দিয়ে জরিপ পূরণ করতে পারেন। অথবা সেই ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে ভালো জরিপ পূরণ করার সুবিধা পাবেন। আবার এ ব্যাপারে কিছু কোর্স সম্পন্ন করলে, সার্ভে করাকে প্রতিনিয়ত উপার্জনের একটি পথ বেছে নিতে পারেন।

তবে জরিপ পূরণ করে আয় করার ওয়েবসাইটগুলোতে লাগে ব্যাপক ধৈর্য এবং পরিশ্রম। তাহলে আপনি মাস শেষে সর্বনিম্ন 10 হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 30 হাজার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।

৫) ভার্চুয়াল সহযোগী।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ধারণা ইন্টারনেটে রীতিমত ভালোভাবেই ছড়িয়েছে। কোনো একটি ওয়েবসাইট ম্যানেজ করার জন্য একজন দক্ষ লোকের প্রয়োজন আছে। বাস্তব দুনিয়ায় যে কোন কোম্পানিতে একজন এসিস্ট্যান্ট এর ভূমিকা অনেক বেশি থাকে।

তেমনি বাস্তব দুনিয়ার বাইরে গিয়ে যখন অনলাইনে কেউ কোনো একটি কোম্পানিতে অথবা ওয়েবসাইটে সহযোগী হিসেবে কাজ করে, তখন আমরা তাকে বলি Virtual Assistant। এর সুবিধা হল আপনার যদি সে রকমের দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি ঘরে বসে কোন একটি কোম্পানির এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করে নিতে পারেন।

VAs এরা হয় খুবই দক্ষ। তারা ঘরে বসে এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করে বিভিন্ন কোম্পানিতে। তাদের কিছু কাজ নিম্নরূপ দেয়া হলোঃ

making phone calls, email correspondence, Internet research, data entry, scheduling appointments, editing, writing, book keeping, marketing, blog management, proofreading, project management, graphic design, tech support, customer service, event planning, এবং social media management।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার জন্য আপনার কিছু রিকোয়ারমেন্ট অথবা যোগ্যতা থাকা দরকার হয়। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাস অথবা ডিগ্রিধারী হতে হবে। অথবা যথাযথভাবে দক্ষ এবং ট্রেনিং নিয়ে আসতে হবে। যোগাযোগ করার দক্ষতা ভালো থাকতে হয়। MS Office এর কাজ জানতে হয়।

উল্লেখযোগ্য ওয়েবসাইটঃ Elance.com, 24/7 Virtual Assistant, Assistant Match, eaHelp, Freelancer, FlexJobs, People Per Hour, Uassist.Me, Upwork, VaVa Virtual Assistants, Virtual Staff Finder, Worldwide 101, Ziptask, Zirtual।

৬) ভাষা অনুবাদ।

এমন যদি হয় আপনি ভালো ভাষা সম্বন্ধে অবগত। তাহলে ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন। ইংরেজি ছাড়াও বিভিন্ন দরকারি ভাষা আছে। যার মধ্যে আছে আরবি, জাপানিজ ফ্রান্স, জার্মানি অথবা অন্যান্য ভাষা। যদি সরাসরি ট্রান্সলেট করার দক্ষতা থাকে। তবে এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট আছে। তাছাড়া কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা আপনাকে ভাষা ট্রান্সলেট করার পরিবর্তে উপার্জন দিবে।

৭) টিউশন করিয়ে অনলাইনে কাজ করে আয়।

অনলাইনে কোন একটি নির্দিষ্ট অধ্যায় বা সাবজেক্টের উপর টিউশন করিয়ে উপার্জন করা যায়। এর কিছু ওয়েব সাইট আছে। যেখানে সরাসরি সাইনআপ করে আপনি একটি নির্দিষ্ট অডিয়েন্সদের সরাসরি টিউশন করাতে পারবেন। এর জন্য আপনি প্রতি ঘণ্টায় দশ থেকে শুরু করে 100 ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন বয়সী বাচ্চাদের অথবা স্টুডেন্টদের অনলাইনের টিউশন করানো যায়। যেমনঃ Vipkids.com

৮) ওয়েব ডিজাইন।

ওয়েব ডিজাইনিং অনলাইনে আয় করার খুব ভালো একটি উপায়। ওয়েবসাইট সম্বন্ধে ভালো ধারণা থাকলে, ওয়েবসাইট ডিজাইন করার দক্ষতা থাকলে, আপনি ফ্রিল্যান্সিং অথবা নিজে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে রীতিমতো উপার্জন শুরু করে নিতে পারেন।

৯) কন্টেন্ট লেখালেখি।

কনটেন্ট লেখালেখি করে ফ্রিল্যান্সারা ভানুমতী উপার্জন করতে পারে ভাল কনটেন্ট এর মূল্য সর্বনিম্ন 100 থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। আর্টিকেল এর কোয়ালিটি উপর নির্ভর করে একটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা যায়

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়ঃ
দৈনন্দিন জীবনে বেশিরভাগ সময় যদিও আমরা অফলাইন দুনিয়ায় কাটাই। তবে ইন্টারনেট দুনিয়া আমাদের জীবনের একটি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ইন্টারনেট দুনিয়াতে আপনি চাইলে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। এখন এই অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায়? তা নিয়ে যদি মনে সন্দেহ জাগে, তবে সম্পূর্ণ ব্লগ পড়ার জন্য আমি আপনাকে অনুরোধ করবো।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বাস্তবতার মাঝে হয়তো ইনকাম করার মধ্য দিয়ে পারিবারিক অসচ্ছলতা পুরোপুরি দূর হচ্ছে না। তার জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ে গিয়ে অনলাইনে আয় করার চিন্তা-ভাবনা করতে পারেন। এতে করে অপশনাল আয় করার সুযোগ থাকে। এবং পারিবারিক অসচ্ছলতা পুরোপুরি দূর হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় নিয়ে আমি এই পোষ্টটি লিখেছি। উল্লেখিত ধারা অনুযায়ী একমাত্র যথার্থ আয় করার উপায়ই আমি উল্লেখ করছি।

১) ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে সব সময় জনপ্রিয়তায় শীর্ষে ছিল। এখানে বিভিন্ন অপশন আছে ইনকাম করার জন্য। একজন মানুষের বিভিন্ন জায়গায় দক্ষতা থাকে। ফ্রিল্যান্সিং টাস্ক গুলো আপনি ইন্টারনেট একটু ঘাটাঘাটি করলেই পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ কি কি কাজ ফ্রিল্যান্সিংয়ে অ্যাভেলেবল আছে? সেসব জিনিস।

বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফ্রিল্যান্সিং টাস্ক প্রদান করে তাদের ব্যবহারকারীদের মাঝে। এতে করে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে উপার্জন শুরু করার পূর্বে বেশিরভাগ লোক বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং টাস্কের উপর কোর্স সম্পন্ন করে। অথবা সে বিষয়ে ব্যাপক ধারণা রাখে।

তারপর ধীরে ধীরে কাজ করা শুরু করে। এজন্য প্রথমে ফ্রীলান্সিং যে কোন একটি ওয়েব সাইটে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। তাছাড়া নির্ধারিত কোনো টাস্কে নিজের একাউন্ট থেকে এ্যাপ্লাই করতে হবে। মানে ওই কাজটি তে এপ্লাই করতে হবে, যেটিতে আপনি দক্ষ।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিছু ভালো ওয়েবসাইট এর মধ্যে আছে Outfiverr.com, upwork.com, freelancer.com, and worknhire.com। এরা আপনাকে ফ্রীলান্সিং জব প্রদান করবে। এসব ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে আপনি ৫ থেকে শুরু করে ১০০ ডলার সহজে ইনকাম করতে পারবেন দৈনিক।

তবে মনে রাখা উচিত, তখনই আপনি নিজের ইনকাম গ্রহণ করতে পারেন। যখন কোনো একটি টাস্ক সফলভাবে সম্পন্ন করবেন। ক্লায়েন্টদের দেয়া বিভিন্ন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করবেন। এমনকি সে কাজটি ক্লায়েন্টদের দ্বারা এপ্রুভড হতে হবে।

অর্থাত এর মানে দাঁড়ায় এই যে কোন একটি কাজ করার পর সেটি বারবার হয়তো রিভাইস দিতে হবে, যতক্ষণ না ক্লায়েন্টের চাহিদা মিটছে। কিছু ওয়েবসাইট হয়তো আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে একটি পেপাল একাউন্ট সেটআপ করার জন্য। অথবা পেওনারের মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট আপনি টাকা উইথড্র করাতে পারবেন।মাসে যদি ৫০০০০ বা তার উপরে উপার্জন করতে চান, তবে ফ্রীল্যান্সিং সর্বোত্তম। তবে মনে রাখতে হবে, ফ্রীল্যান্সিং দিন দিন কম্পিটিটিভ হয়ে দাড়াচ্ছে।

২) নিজের ওয়েবসাইট শুরু করুন।

অনলাইনে যথেষ্ট ভালো ম্যাটারিয়াল ও টুলস আছে যেকোনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য। যার সর্ব প্রধান উদাহরণ ওয়ার্ডপ্রেস। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে যে কোন একটি ভালো ওয়েবসাইট নিমিষেই তৈরি করে নিতে পারবেন। অথবা তৈরি করাতে পারবেন। নিজের একটি ওয়েবসাইট চালু করে সেখান থেকে ইনকাম করার হরেক রকম উপায় আছে।নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে এড ব্যবহার করে মাসিক ৫০ হাজার উপার্জন করা সবচেয়ে সহজ উপায়।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য সাধারনত ডোমেইন, টেমপ্লেট, লেআউট কাস্টমাইজ, হোস্টিং এসবের প্রয়োজন আছে। অথবা কিছু কিছু ব্লগিং ম্যাটারিয়াল আছে যারা ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করার সুবিধা প্রদান করে। যেমনঃ গুগল ব্লগার। নিজের ওয়েবসাইট যখন পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। পাশাপাশি কিছু ভিজিটর আসবে। যারা আপনার ওয়েবসাইটের লেখা, বিভিন্ন বিষয় বস্তু বা আপলোড করা বিভিন্ন বিষয় বস্তু পছন্দ করে।

এরপর ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইট উন্নতি হবে। এবং আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য সাইন আপ করতে পারেন, যাতে করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন বসাতে পারেন। সে বিজ্ঞাপন থেকে আপনি রীতিমত দৈনিক উপার্জন করে নিতে পারেন। এর মানে যত বেশি ভিজিটর ও পেজ ভিউ আসবে, ততই উপার্জন করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

৩) এফিলিয়েট মার্কেটিং।

পূর্বের ধাপে আমি বলেছিলাম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে চাইলে উপার্জন শুরু করা যায়, তাও আবার অনলাইনে। ধরে নিলাম যে, আপনার ওয়েবসাইট তৈরী হয়ে গেল। এখন সে ওয়েবসাইটে চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা এই যে, আপনি কোন পণ্য অথবা সার্ভিস যখন নিজের ওয়েবসাইটে প্রমোট করবেন। তার পাশাপাশি একটি এফিলিয়েট লিংক দিয়ে রাখতে পারেন। সেই এফিলিয়েট লিংক এ ক্লিক করে কোনো ভিজিটর যদি সে সার্ভিস অথবা পণ্যটি ক্রয় করেন নেয়। তবে তার থেকে একটি নির্দিষ্ট লভ্যাংশ আপনাকে প্রদান করা হবে।

৪) সার্ভে করে আয়, অনলাইনে রিসার্চ ও রিভিউ।
বাংলাদেশ জরিপ পূরণ করে আয় করার ব্যাপারটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছে আগের তুলনায়। বিভিন্ন মার্কেট রিসার্চাররা সর্বপ্রথম ক্লায়েন্টের চাহিদা গ্রহণ করে বিভিন্ন জরিপ ওয়েবসাইট থেকে। যার মধ্যে আছে, swagbucks, my points, survey junkie ইত্যাদি।

ওয়েবসাইটগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে ভিন্ন আইপি এড্রেস দিয়ে আপনি বিভিন্ন দেশের নামধারী পরিচয় দিয়ে জরিপ পূরণ করতে পারেন। অথবা সেই ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে ভালো জরিপ পূরণ করার সুবিধা পাবেন। আবার এ ব্যাপারে কিছু কোর্স সম্পন্ন করলে, সার্ভে করাকে প্রতিনিয়ত উপার্জনের একটি পথ বেছে নিতে পারেন।

তবে জরিপ পূরণ করে আয় করার ওয়েবসাইটগুলোতে লাগে ব্যাপক ধৈর্য এবং পরিশ্রম। তাহলে আপনি মাস শেষে সর্বনিম্ন 10 হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 30 হাজার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।

৫) ভার্চুয়াল সহযোগী।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ধারণা ইন্টারনেটে রীতিমত ভালোভাবেই ছড়িয়েছে। কোনো একটি ওয়েবসাইট ম্যানেজ করার জন্য একজন দক্ষ লোকের প্রয়োজন আছে। বাস্তব দুনিয়ায় যে কোন কোম্পানিতে একজন এসিস্ট্যান্ট এর ভূমিকা অনেক বেশি থাকে।

তেমনি বাস্তব দুনিয়ার বাইরে গিয়ে যখন অনলাইনে কেউ কোনো একটি কোম্পানিতে অথবা ওয়েবসাইটে সহযোগী হিসেবে কাজ করে, তখন আমরা তাকে বলি Virtual Assistant। এর সুবিধা হল আপনার যদি সে রকমের দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি ঘরে বসে কোন একটি কোম্পানির এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করে নিতে পারেন।

VAs এরা হয় খুবই দক্ষ। তারা ঘরে বসে এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করে বিভিন্ন কোম্পানিতে। তাদের কিছু কাজ নিম্নরূপ দেয়া হলোঃ

making phone calls, email correspondence, Internet research, data entry, scheduling appointments, editing, writing, book keeping, marketing, blog management, proofreading, project management, graphic design, tech support, customer service, event planning, এবং social media management।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার জন্য আপনার কিছু রিকোয়ারমেন্ট অথবা যোগ্যতা থাকা দরকার হয়। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক পাস অথবা ডিগ্রিধারী হতে হবে। অথবা যথাযথভাবে দক্ষ এবং ট্রেনিং নিয়ে আসতে হবে। যোগাযোগ করার দক্ষতা ভালো থাকতে হয়। MS Office এর কাজ জানতে হয়।

উল্লেখযোগ্য ওয়েবসাইটঃ Elance.com, 24/7 Virtual Assistant, Assistant Match, eaHelp, Freelancer, FlexJobs, People Per Hour, Uassist.Me, Upwork, VaVa Virtual Assistants, Virtual Staff Finder, Worldwide 101, Ziptask, Zirtual।

৬) ভাষা অনুবাদ।

এমন যদি হয় আপনি ভালো ভাষা সম্বন্ধে অবগত। তাহলে ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন। ইংরেজি ছাড়াও বিভিন্ন দরকারি ভাষা আছে। যার মধ্যে আছে আরবি, জাপানিজ ফ্রান্স, জার্মানি অথবা অন্যান্য ভাষা। যদি সরাসরি ট্রান্সলেট করার দক্ষতা থাকে। তবে এর মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট আছে। তাছাড়া কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা আপনাকে ভাষা ট্রান্সলেট করার পরিবর্তে উপার্জন দিবে।

Fiverr.com, worknhire.com or Upwork.com

৭) টিউশন করিয়ে অনলাইনে কাজ করে আয়।

অনলাইনে কোন একটি নির্দিষ্ট অধ্যায় বা সাবজেক্টের উপর টিউশন করিয়ে উপার্জন করা যায়। এর কিছু ওয়েব সাইট আছে। যেখানে সরাসরি সাইনআপ করে আপনি একটি নির্দিষ্ট অডিয়েন্সদের সরাসরি টিউশন করাতে পারবেন। এর জন্য আপনি প্রতি ঘণ্টায় দশ থেকে শুরু করে 100 ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন বয়সী বাচ্চাদের অথবা স্টুডেন্টদের অনলাইনের টিউশন করানো যায়। যেমনঃ Vipkids.com

৮) ওয়েব ডিজাইন।

ওয়েব ডিজাইনিং অনলাইনে আয় করার খুব ভালো একটি উপায়। ওয়েবসাইট সম্বন্ধে ভালো ধারণা থাকলে, ওয়েবসাইট ডিজাইন করার দক্ষতা থাকলে, আপনি ফ্রিল্যান্সিং অথবা নিজে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে রীতিমতো উপার্জন শুরু করে নিতে পারেন।

কনটেন্ট লেখালেখি করে ফ্রিল্যান্সারা ভানুমতী উপার্জন করতে পারে ভাল কনটেন্ট এর মূল্য সর্বনিম্ন 100 থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। আর্টিকেল এর কোয়ালিটি উপর নির্ভর করে একটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা যায়

১০) ব্লগিং করে অনলাইনে আয়।
ব্লগিং শুরু করার কিছু কারণের মধ্যে আছে, ১) শখ। ২) আগ্রহ। ৩) প্যাশন। আর হ্যা এই ৩টি কারণে ব্লগিং শুরু করলে শীঘ্রই এটি আপনার ক্যারিয়ারে পরিণত হবে। বর্তমানে খুব ভালো সংখ্যক Full-Time ব্লগার আছে। একটি ব্লগ শুরু করার দুটি উপায় আছে। এর মধ্যে আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস. ওআরজি, Tumbir এ ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারে। ওয়ার্ডপ্রেসে কোনো ইনভেস্টমেন্ট লাগে না। শুধু সেল্ফ হোস্টেড আরকি। নিজ থেকে হোস্ট করা লাগে, হোস্টিং এর নিজস্ব খরচ থাকে।

৯) কন্টেন্ট লেখালেখি।

ব্লগিং করলে ইনকাম করার সাধারণ উপায় এড বসিয়ে আয় করা। আর তাছাড়াও এফিলিয়েট, স্পন্সর করে ভালো মতো আয় করা যায়।

১১) ইউটিউব।

যদি আপনি ব্লগিংয়ে কোনো আগ্রহ না পান, কন্টেন্ট লেখালেখিতে ইন্টারেস্টেড না হোন। তবে একটি ক্যামেরা ব্যবহারে ভালো প্রেসেন্টেশনের সাথে ভিডিও তৈরি করা শুরু করতে পারেন। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন, ভিডিও আপলোড করুন, মনিটাইজিং করে ইনকাম শুরু করুন। একটি ক্যাটাগরি বা বিষয় সিলেক্ট করুন যেটায় আপনি ভিডিও বানাতে চাচ্ছেন। তবে খেয়াল রাখা লাগবে, ঐ বিষয়ে ব্যাপক লোকের আগ্রহ আছে কিনা?

ঐ বিষয়ে বিভিন্ন টপিকের উপর ভিডিও বানান। দেখুন, রীতিমতো ভালো ভিউস আসছে কিনা। যদি আসে, তাহলে এড দেখিয়ে ইনকাম করা শুরু করুন।

১২) PTC সাইট।

নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট এডে ক্লিক করার পরিবর্তে উপার্জনের সুযোগ দেয়। এরা Paid-To-Click বা পিটিসি সাইট বলে পরিচিত। এখানে এডে ক্লিক করে, ভিডিও দেখে, গেম খেলে, বন্ধুদের রেফার করে, জরিপ পুরণ করে, তাদের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে আয় করে নেয়া যায়।৷ উদাহরণঃ ClixSense.com , BuxP এবং NeoBux

শেষকথাঃ
আজকে আমরা জানলাম, কিভাবে অনলাইনে আয় করতে হয় তার কিছু দারুন উপায়। উল্লেখিত উপায় অনুসরণ করে অনলাইনে আয় করা শুরু করতে পারেন। আমরা চাইলে ইন্টারনেটে ঘরে বসেই ভালো হারে আয় করতে পারি। উপরোক্ত উপায়গুলো মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার কার্যকরী উপায়।

যদি ভালো লাগে তাহলে আমাদের কন্টেন্ট আরো পড়বেন। সবসময় আমাদের ফলো করে রাখবেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ