ইহজগৎ সম্পর্কে নিতান্ত উদাসীন না হলে, আপনি অবশ্যই ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিটকয়েন এবং NFT –এর মতো শব্দগুলি শুনে থাকবেন। কিন্তু আমাদের মধ্যে অধিকাংশেরই এই বিষয়ে খুব বেশি সচেতনতা নেই। যদি আপনি সেই দলে না পড়েন, তাহলে অবশ্যই জেনে গিয়েছেন যে ভারতে এখন আর ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ নয়। ফলে আপনার ক্ষমতা অনুসারে ট্রেডিং শুরু করতেই পারেন।
বর্তমানে Paypal, Visa এবং Mastercard এর মতো বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থা এবং এল সালভাদোরের মতো দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করা হয়। ফলে ক্রিপ্টোর জগতে আপনার যাত্রা শুরু করার সময় চলে এসেছে এবং এই দারুণ সুযোগ অবশ্যই কাজে লাগান।
আপনার কেন ক্রিপ্টো প্রয়োজন –
আসুন বাস্তবসম্মত কিছু কথা বলি এবং মেনে নিই যে FOMO এর অস্তিত্ব রয়েছে। তার সাথে এটাও স্বীকার করতে হবে যে, গত এক দশকের মধ্যে বিটকেয়েনের চেয়ে ভালো বিনিয়োগ বিকল্প তৈরি হয়নি। ফলে, যদি আপনি ২০১০ সালে ₹১০,০০০ মূল্যের বিনিময়ে বিটকয়েন কিনে থাকেন, তাহলে মাত্র সাত বছর পরে অর্থাৎ ২০১৭ সালে আপনি ₹৬৬ কোটির মালিক হয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ মাত্র সাত বছরে আপনার বিনিয়োগ ৬৬,০০,০০০% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ১টি বিটকয়েনের মূল্য ছিল ২৭৭৯ মার্কিন ডলার।
২০১৭ সাল থেকে, বিটকয়েনের দাম অত্যন্ত দ্রুত হারে বৃদ্ধি পয়েছে, এবং বর্তমানে একটি বিটকয়েনের মূল্য ৪৬,০০০ মার্কিন ডলার (₹৩৪.৪৬ লাখ)! যদি আপনি এমন আর একটি অ্যাসেট ক্লাস দেখাতে পারেন যার মূল্য এই রকম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাহলে আমরা নিজেদের ভুল মেনে নেব।
আসল কথা হল, বিশ্লেষকরা বলছেন যে বিটকয়েনের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে একটি বিটকয়েনের মূল্য ৩১৮৪১৭ মার্কিন ডলার (₹২.৩৬ কোটি) ছুঁতে পারে! ফলে হাতে সময় রয়েছে, যাঁরা এখনও এই সুযোগ কাজে লাগাননি, তাঁরা অবশ্যই বিটকয়েনের সাথে উন্নতির এই যাত্রায় সামিল হয়ে যান। চলুন, শুরু করা যাক।
ক্রিপ্টোকারেন্সি: কীভাবে শুরু করবেন
যদি আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে বিনিয়োগ শুরু করবেন, তাহলে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত যে কেন এই অ্যাসেট ক্লাস-কে নির্বাচন করবেন। আসলে, একবার যদি আপনি বুঝে যান যে ক্রিপ্টোই হল ভবিষ্যৎ, তাহলে আপনি অটোমেটিক ভাবে বিনিয়োগের জন্য একেই বেছে নেবেন।
একবার আপনি এখানে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে, আপনাকে নির্বাচন করতে হবে যে কী ধরনের ক্রিপ্টো-তে আপনি বিনিয়োগ করতে চান এবং কত টাকা এখানে বিনিয়োগ করবেন। আপনি বিটকয়েন এবং ইথেরিয়ামের মতো জনপ্রিয় বিকল্পগুলি দেখতে পারেন, আবার কিছু কম-জনপ্রিয় কয়েনের দিকেও নজর দিতে পারেন, যেগুলির মধ্যে দ্রুত উন্নতি করে বাকিদের সমকক্ষ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
টাকা বিনিয়োগ করার আগে, আপনাকে ভারতের কোনও ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ সার্ভিসে সাইন আপ করতে হবে, KYC প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে এবং তারপরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই এক্সচেঞ্জে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন আপনার প্রথম ক্রিপ্টো কেনার জন্য। আমরা এক্ষেত্রে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ অ্যাপ ZebPay ব্যবহার করার পরামর্শ দেব। এটি সুপারিশ করার বহু কারণ রয়েছে, তার মধ্যে একটি হল, এটি দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বহুল-প্রচলিত ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ।
ZebPay, আমাদের মন জিতে নিয়েছে এর দূরদর্শী এবং নির্ঝঞ্ঝাট অ্যাপের মাধ্যমে। এর কিছু দুর্দান্ত ফিচার রয়েছে, যার ফলে চোখ বন্ধ করে এটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া যায়। ZebPay Earn হল এমনই একটি ফিচার। এই ফিচারের দ্বারা শুধুমাত্র ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে আপনি ক্রিপ্টো আয় করতে পারবেন –
অনেকটা ক্রিপ্টো সেভিংসের উপরে নির্দিষ্ট হারে সুদ পাওয়ার মতো। এই সুদের হার ১% থেকে ৭.৫% পর্যন্ত হতে পারে, এটি নির্ভর করবে আপনি কোন কয়েনে বিনিয়োগ করছেন তার উপরে। কয়েন কিনে এবং তা জমিয়ে রেখে ক্রিপ্টো আয় করার চেয়ে সহজ কিছু হতে পারে না!
প্রথম বার ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করার সময়ে যা যা জানা দরকার
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে, প্রথম বার বিনিয়োগ করার সময়ে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
১ – একদম প্রথমে আপনার পোর্টফোলিওর একটি ক্ষুদ্র অংশ ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে বিনিয়োগ করুন। এমন পরিমাণ বিনিয়োগ করুন যেটা হারালে আপনার বিশেষ ক্ষতি হবে না।
২ – ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে কয়েক হাজার টাকা বিনিয়োগ না করলে শুরু করা যাবে না, এমন ধারণা ভুল। বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ সাধারণত ₹১০০ এর মতো কম টাকা দিয়েও বিনিয়োগ শুরু করার সুবিধা প্রদান করে থাকে। এভাবে, আপনি একটি গোটা কয়েন কেনার পরিবর্তে একটি বিটকয়েনের ক্ষুদ্র অংশ কিনে নিতে পারেন।
৩ – সরকারের তরফে প্রকাশিত নিয়মাবলী এবং খবরের দিকে নজর রাখুন। ভারতে ক্রিপ্টো এখন আর অবৈধ নয়, কিন্তু এই সম্পর্কিত নিয়মাবলী নিয়ে বহু পরস্পর-বিরোধী তথ্য রয়েছে। ফলে সঠিক গ্রুপ, ফোরাম এবং খবরের সোর্স ফলো করুন, তাহলে সঠিক তথ্যের দ্বারা নিজেকে আপডেট রাখতে পারবেন।
৪– একটা কথা মনে রাখবেন, কোনও কিছু শুনে অবিশ্বাস্য মন হলে, বুঝতে হবে তা সম্পূর্ণ ভুল নয়। এটা সত্যি যে, কিছু ক্রিপ্টো এমন পরিমাণ রিটার্ন দিয়েছে যা শুনলে মাথা ঘুরে যেতে পারে। কিন্তু তার পাশাপাশি এটাও অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্র্যাশ করলে, আপনি সমস্ত বিনিয়োগ হারাতে পারেন। এই কারণে ZebPay –এর মতো নামজাদা ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ নির্বাচন করুন।
ক্রিপ্টোকারেন্সির এই নতুন জগতে আপনার যাত্রা শুরু করার জন্য আমাদের তরফে রইলো অনেক শুভেচ্ছা। সঙ্গে থাকুন এবং আমাদের দেখতে থাকুন, কারণ আমরা সব সময় নানা রকমের তথ্য জানাতে থাকি, যেগুলি জানলে আপনি নিঃসন্দেহে একজন সফল ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগকারী হয়ে উঠবেন।
অস্বীকারোক্তি:
ক্রিপ্টোকারেন্সি হল আনরেগুলেটেড ডিজিটাল অ্যাসেট এবং এগুলি লিগাল টেন্ডার নয়। অতীতের পারফরমেন্স কখনোই ভবিষ্যতের ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চয়তা প্রদান করে না। ক্রিপ্টোকারেন্সি-তে বিনিয়োগ/ট্রেডিং সর্বদাই মার্কেট সম্পর্কিত ঝুঁকি এবং আইনী ঝুঁকির আওতায় পড়ে।
Comments (No)