কীভাবে User Friendly best Artical লিখতে হয়? যা দ্রুত Google র‌্যাঙ্ক করবেন

কীভাবে User Friendly Artical লিখতে হয়? যা দ্রুত Google র‌্যাঙ্ক করবেন আপনি যদি একজন অনলাইন আর্টিকেল লেখক (content writer) হন বা হতে চান, আপনাকে অবশ্যই জানতে হবেঃ

একটি সুন্দর আর্টিকেলই পারে পাঠককে মুগ্ধ করতে ও পরবর্তী আর্টিকেল এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করাতে।

কীভাবে User Friendly Artical  লিখতে হয়? যা দ্রুত Google  র‌্যাঙ্ক করবেন

লেখক তো অনেক আছে বা হয়ে থাকে তারপরও কেন কিছু লেখকের বই বা প্রকাশিত যে কোন কিছুর জনপ্রিয়তা থাকে আকাশচুম্বী? কাগজের মান, আকর্ষণীয় ছবি নাকি লেখার মান? এখানে কি লেখকের ভূমিকা স্বীকার করবেন না?

আকর্ষণীয় লেখা তৈরি করতে হলে আপনাকে শিরোনাম (Title), সংক্ষিপ্ত ভূমিকা (Summary or Description), বিবরণ (Content) এবং সমাপ্তি (Conclusion) এই সকল বিষয় নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে। 

আমি এখানে একজন আর্টিকেল রাইটার হিসেবে আলোচনা করব আর্টিকেল যেভাবে ইউসার ফ্রেন্ডলি ও আকর্ষণীয় করে তুলবেন।

আর্টিকেলের শিরোনাম সুন্দর ও আকর্ষণীও রাখার চেষ্টা করা।

‘অকালে পেকেছে যে’ কথাটি বোঝাতে  ‘অকালপক্ব’ শব্দটিই যথেষ্ট সাথে রসবোধও তৈরি করে। তেমনি আর্টিকেলের শিরোনাম দেখলে তার বিষয় বস্তু সম্পর্কে পুরো ধারনা পাওয়া যাবে, সেই সাথে আর্টিকেলটি পড়ার আগ্রহ বা আকর্ষণ তৈরির দায়িত্ব শিরোনামকেই নিতে হবে। তবে এক বিষয় অথবা একাধিক বিষয় হলেও আগে বিষয়গুলো একটি নোটপ্যাডে লিখুন তারপর সকল বিষয়ের শিরোনামগুলো ঠিক করুন।

কীভাবে User Friendly Artical  লিখতে হয়? যা দ্রুত Google  র‌্যাঙ্ক করবেন

সব কিছু এলোমেলো লাগছে? আচ্ছা আমি সহজ করে বলছি, ধরুন আপনার বিষয়গুলো হলঃ

  • আর্টিকেল সুন্দর করার টিপস।
  • আর্টিকেল লেখার পরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস।

আর্টিকেলের শিরোনাম হতে পারেঃ

  • যেভাবে একটি আর্টিকেল সুন্দর ও আকর্ষণীও করবেন।
  • সহজে আর্টিকেল নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য করে তুলুন।

আমার একটি বদ অভ্যাস আছে, আমি খবরের কাগজ পড়তে গেলেও শিরোনাম পড়ে শেষ করি। তারপর বেছে বেছে দু-একটা বিস্তারিত পড়ি। আমার মত যারা আছে তাদেরকে তো শুধু সুন্দর একটি শিরোনাম দিয়েই পাঠক বানাতে পারেন।

সতর্কীকরণঃ আর্টিকেলের শিরোনাম সুন্দর ও আকর্ষণীও মানে কিন্তু এই না যে আপনার পোষ্টি হলোঃ আর্টিকেল লেখার টিপস বিষয় এবং আপনি শিরোনাম Title ব্যবহার করলেন, জেনে নিন অনলাইনে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন সহজ উপায়। এর মানে হলো আপনি গুগলের কনটেন্ট নীতি লঙ্ঘন করছেন, যার প্রভাব আপনার আর্টিকেলে সহ আপনার ওয়েবসাইটে উপরেও পরবে।

বিবরণের প্রতিটি অংশ একেকটি আর্টিকেলঃ

বিবরণের প্রতিটি অংশকে শুধুমাত্র অংশ মনে না করে একেকটি আর্টিকেল মনে করেন। যে আর্টিকেলে শিরোনাম, ভূমিকা, বিবরণ ও সমাপ্তি সবই থাকবে। প্রতিটি অংশের একটি শিরোনাম দিন। প্রথম লাইনকে ভূমিকা, শেষ লাইনকে সমাপ্তি এবং মাঝের অংশটুকু বিবরন কল্পনা করে লিখুন।

কীভাবে User Friendly best Artical লিখতে হয়? যা দ্রুত Google র‌্যাঙ্ক করবেন 1

এছারা প্রতিটি অংশের আয়তনের খুব বেশি পার্থক্য জেন না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এর মানে দাঁড়ালো কোন পাঠক যদি শুধুমাত্র শিরোনামগুলু দেখে চলে যায় তবুও যেন সে আর্টিকেল এর বিষয়টি সম্পর্কে ধারনা নিয়ে জেতে পারে(বুঝে নিতে পারে)। এছাড়া শিরোনামগুলো পড়লেই সে বুঝতে পাড়বে আর্টিকেলটি তার জন্য কতটা প্রয়োজনীয় হতে পারে।

আচ্ছা আপনার কি মনে হয় শিরোনামগুলোতেই সকল কিছু পেয়ে গেলে সে চলে যাবে? আরে না- প্রতিটি শিরোনাম তো তাকে কান ধরে ওই অংশটুকু পড়তে বাধ্য করবে।

ভূমিকা আর্টিকেলের আয়না যেখানে আর্টিকেলের ছায়া দেখা যাবেঃ

আয়নার দিকে তাকালে মানুষের ছায়া দেখা যায়, ভুমিকার দিকে তাকালে আর্টিকেলের ছায়া দেখা যাবে। বলুনতো মানুষ আগে না ছায়া আগে? নিশ্চয়ই মানুষ। তাহলে আপনি বিবরণ তৈরি না করে কি করে সুন্দর ভূমিকা তৈরি করবেন? বিবরনে যা লিখলেন তারই সারগর্ভ ভুমিকাতে লিখুন।

সহজ করে বললে ভুমিকাতে ৩ টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া উচিত – 

  • কাদের জন্য লিখছেন? এ অংশে আমি লিখেছি আর্টিকেল রাইটারদের কথা যাতে সহজে পাঠক বুঝতে পারে এটি তার জন্য লেখা কিনা, 
  • কি প্রয়োজনে লিখছেন? এ অংশে আমি লিখেছি আর্টিকেল এর উদ্দেশ্য যাতে সহজে পাঠক বুঝতে পারে এটি তার কাজে লাগবে কিনা।
  • কি কি লিখছেন? এ অংশে আমি বিবরন অংশের উপর আলোকপাত করেছি যাতে সহজে পাঠক বুঝতে পারে এটিতে তার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য আছে কিনা।

এভাবে লিখলে ভূমিকাটি আর্টিকেল হবেনা কিন্তু আর্টিকেলের ছায়া অবশ্যই হবে। তবে মনে রাখতে হবে ভুমিকার আয়তন আর্টিকেলের আয়তনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ থাকতে হবে।

আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে সবসময় অবশ্যই বাংলা ভাষায় ও বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে লিখুন বাংলা ইংরাজী দিয়ে আর্টিকেল লিখবেন না। 

আর্টিকেল লেখার সময় চেষ্টা করুন আপনি নিজে যতটুকু জানেন তার পুরোটাই জানিয়ে দিতে। এবং যতটা সম্ভব বিস্তারিত বিবরণ সহ লিখতে এবং স্পষ্টভাবে লিখতে চেষ্টা করুন, অযথা বা অসংলগ্ন কথাবার্তা কিংবা বানান ভুলের ব্যাপারে সচেষ্ট হোন।

লেখার সাথে সংগতিপূর্ণ ছবি, লিংক, ভিডিও, যেটা যুক্ত করলে পাঠকের বুঝতে সহজ ও উপকার হয় তা যুক্ত করুন।

সমাপ্তি – কি যেন আকর্ষণ রয়ে গেলঃ

এই অংশে এমন কিছ্য করুন যাতে পাঠক মনে করে শেষ করলেন কিন্তু শেষ হয়নি আরও কি যেন আছে। ধুম্পানের শেষটান যেন ধুম্পান করা শেষ তবুও কি যেন ফেলে দিলেন। তবে সমাপ্তি ছোট করার দিকে মনযোগী হবেন।

বিঃদ্রঃ আর্টিকেল প্রকাশের পরে দ্রুত গুগলে র‌্যাঙ্ক করার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাকলিংক Backlink তৈরি করা যা আপনার আর্টিকেল কে দ্রুত গুগলে র‌্যাঙ্ক করাবে, তবে আর্টিকেল অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে এবং মানসম্মত কনটেন্ট হতে হবে।

ব্যাকলিংক Backlink কি ব্যাকলিংকের গুরুত্ব এবং কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন ? বিস্তারিত জানতে আমার পূর্বের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

আর্টিকেল রাইটিং বিষয় আপনার কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট লিখে জানাতে পারেন, আমি আপনাদের উত্তর দেওযার চেষ্টা করবো। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, বিষয় যে কোন প্রশ্ন করতে পারেন।

আমার পরবর্তী আর্টিকেলটি সবার আগে পেতে আমাকে “follow” করুন এবং বিবিসি ফ্লাই সাথে থাকুন। আর্টিকেল টি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ