ওয়েব ডিজাইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা

বর্তমানে ইন্টারনেট থেকে আয় করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। আর এই ওয়েব ডিজাইন শিখতে হলে প্রথমে আমাদের যে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে তা নিয়ে আজ আপনাদের কিছু আইডিয়া শেয়ার করবো।

আমদের প্রথম কাজ হবে এইচটিএমএল কি সেটা জানা।  আর এই এইচটিএমএলকে স্টাইল করার জন্য  শিখতে হবে সিএসএস।
এরপর সাইট ডিজাইন করার আগে ফটোশপে  মেকআপ তৈরী  করতে হবে। এই ফটোশপ ফাইলকে পিএসডি বলা হয়। পিএসডি করার পর এটাকে এইচটিএমএল এ রুপান্তর করতে হয়। এই কাজটিকে বলা হয় পিএসডি টু এইচটিএমএল।

এইচটিএমএল ও সিএসএস দিয়ে সাইট বানানো হলে, সাইটে এনিমেশন, স্লাইডশো ইত্যাদি করার জন্য জাভাস্ক্রিপ্ট দরকার হয়। এটা হল সাইটের মেকআপ বক্স।

সাইট বানানো হয়ে গেলে এটা কে রেস্পনসিভ করতে হয়। রেস্পনসিভ অর্থ হল, বিভিন্ন স্ক্রীন সাইজ অনুযায়ী সাইটকে প্রদর্শনের ব্যাবস্থা করা। রেস্পনসিভ করার জন্য অনেক ফ্রেমওয়ার্ক আছে। যেমন: গামবী, ফাউন্ডেশন, এইচটিএমএল কিকস্টার্ট, টুইটার বুটস্ট্র্যাপ, স্কেলেটন, এইচটি এম এল ৫ বয়লারপ্লেট, মন্টেজ, স্প্রাউটকোর, যেব্রা, লেস ফ্রেমওয়ার্ক ইত্যাদি।

এরপর সাইটকে ডায়নামিক করার জন্য সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং দরকার। অর্থাৎ সাইটে ফর্ম থেকে কোন তথ্য ডাটাবেজে স্টোর করার জন্য এবং ডাটাবেজে সংরক্ষিত তথ্য রিট্রিভ করার জন্য স্ক্রিপ্টিং করা দরকার। এজন্য  যা লাগবে তা হল, পিএইচপি ও মাইএসকিউএল বা এএসপি ও এমএমএসকিউএল সার্ভার ২০০৮।

এবার সিএমএস নিয়ে কথা বলি। সবচেয়ে জনপ্রিয় সিএমএস হল ওয়ার্ডপ্রেস। সিএমএস এর সুবিধা হলঃ অনেক কিছুই করে দেয়া থাকে, অল্প সময়ে সাইট ডিজাইন করা যায়। প্রচুর প্লাগিন পাওয়া যায়। প্লাগিন ব্যাবহার করে সময় বাচিয়ে সাইট তৈরী করতে সিএমএস এর জুড়ি নেই। জনপ্রিয় সিএমএস হল জুমলা।

ইকমার্স সাইট বানানোর জন্য ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগিন পাওয়া যায়। wp-ecommerce এরকম একটি প্লাগিন। জুমলাতেও ইকমার্স সাইট বানানোর জন্য প্লাগিন পাওয়া যায়। এরকম একটি প্লাগিন হল: Virtuemart.

ইকমার্স সাইট বানানোর জন্য স্পেশ্যাল কিছু সিএমএস আছে। যেমন: Tomatocart, Zen cart, OsCommerce, NopCommerce, BigCommerce, PrestaShop, WooCommerce ও Opencart ইত্যাদি।

ইকমার্স সাইট বানানোর জন্য সাইটে পেমেন্ট মেথড ইন্ট্রিগেট করতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট মেথডের মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বস্ত হল: PAYPAL।

এসব পেমেন্ট মেথড কিভাবে সাইটে ইন্ট্রিগেট করতে হয় তা ঐ পেমেন্ট মেথডের সাইটের হেল্প ফাইলে বা সাপোর্টে পাওয়া যায়।
অনেকে সাইটে ফেসবুক লাইকবক্স, শেয়ার বাটন, পিন্টারেস্ট, টুইটার, গুগল+ ইত্যাদি শেয়ার বা লাইক বাটন এড করতে চায়। এগুলো সংশ্লিষ্ট সাইটে পাওয়া যায়। গুগলে সার্চ করলে লিঙ্ক পেয়ে যাবেন।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ