বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক (নিউইয়র্ক ফেড), আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক মাধ্যম সুইফট কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ব্যাংক একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এই তিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডে বৈঠক হয়।
বৈঠক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও নিউইয়র্ক ফেডের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ডাডলি অংশ নেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া পক্ষগুলো তাদের পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করেছে। বিনিময় করেছে অন্যান্য তথ্যও। অর্থ চুরির ঘটনায় পক্ষগুলো তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে। কার্যপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক করতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তারা অঙ্গীকার করেছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া সব পক্ষ থেকে একসঙ্গে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এ ঘটনায় চুরি যাওয়া সম্পূর্ণ অর্থ উদ্ধার, দুর্বৃত্তদের বিচারের আওতায় আনা ও এ ধরনের আক্রমণ থেকে বৈশ্বিক আর্থিক সিস্টেমকে সুরক্ষা করতে সম্মত হয়েছে তারা।
সুইফটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে নিউইয়র্ক ফেডে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনাটি ঘটে।
পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা জড়িত
বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্কে ঢুকে অর্থ চুরির সঙ্গে পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও আরেকটি দেশের হ্যাকারদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ার আইয়ের দুজন কর্মকর্তা। হ্যাকিংয়ের বিষয়টি তদন্ত করতে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফায়ার আইকে ভাড়া করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এমন দুজন সূত্রের বরাতে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্লুমবার্গ বলছে, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া ছাড়াও আরেকটি অজানা পক্ষ এর সঙ্গে যুক্ত আছে। তবে সেই পরিচয় ও উৎস বের করা যায়নি।
ব্লুমবার্গ বলছে, অজানা তৃতীয় পক্ষটি কোনো সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক কিংবা কোনো দেশের এজেন্ট কি না, তা বোঝার জন্য যথেষ্ট তথ্য পায়নি ফায়ার আই। তবে ওই পক্ষটিও প্রকৃত অপরাধী হতে পারে।
তবে ফায়ার আইয়ের মুখপাত্র ভিক্টর ডি সুজা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Comments (No)