ই-কমার্স বিজনেস – ঘরে বসেই শুরু করুন ই-কমার্স ব্যবসা? 2022

ই-কমার্স বিজনেস – ঘরে বসেই শুরু করুন ই-কমার্স ব্যবসা? ই-কমার্স অনলাইন পরিচালিত যে কোনও ধরণের ব্যবসায়ের লেনদেনকে বোঝায়। ইকমার্সের সর্বাধিক জনপ্রিয় উদাহরণ হ’ল অনলাইন শপিং, যা কোনও ডিভাইসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য কেনা বেচা করাকে বোঝায়। তবে, ইকমার্স অন্যান্য ধরণের কার্যক্রম যেমন অনলাইন নিলাম, পেমেন্ট গেটওয়ে, অনলাইন টিকিটিং এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ই-কমার্স হয়ে থাকে। সহজে বলতে গেলে অনলাইনে পণ্য বেচাকেনা এর সহজ উদাহরণ। আমরা কম বেশি সবাই অনলাইন থেকে ক্রয় করে থাকি। যে কোনো ব্যবসাকে ইলেক্ট্রনিক্সের মাধ্যমে পরিচালনা করাই হল ই-কমার্স।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে ই-কমার্স।অনলাইনের মাধ্যমে আমরা যখন কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করি তখন তাকে ই-কমার্স বলে। ই-কমার্সের প্রথম ও প্রধান সুবিধা হচ্ছে ঘরে বসেই মাত্র কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ক্রয় করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে আয় 2022?

ই-কমার্স বিজনেস – ঘরে বসেই শুরু করুন ই-কমার্স ব্যবসা?

ই-কমার্স কি?

ঘরে বসে মাত্র কয়েক ক্লিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে ই-কমার্স।অনলাইনের মাধ্যমে আমরা যখন কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করি তখন তাকে ই-কমার্স বলে থাকি। পণ্য অনলাইনে বেচাকেনা ই-কমার্সের সাধারণ একটি উদাহরণ। বিক্রেতারা অনলাইনে বিক্রেতাদের কাছে পণ্য বিজ্ঞাপন দেয় ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ।

আমরা হয়তো কম বেশি Amazon.com এর নাম শুনেছি কম বেশি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা ই-কমার্স সাইট হলো Amazon। দিন দিন বাংলাদেশ ও ই-কমার্স চাহিদা বাড়তেছে আমরা হয়তো প্রায়সময় দেখে থাকি ফেইসবুক রকমারি ডটকমের বিজ্ঞাপন রকমারি সচারাচর বই বিক্রি করে থাকে। বাংলাদেশ আরও অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে যেমনঃ

www.chaldal.com ,
www.ajkerdeal.com,
২০২০ সালের ইকমার্স পরিসংখ্যান যদি আমরা দেখি বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ২০২০ সালে খুচরা ইকমার্স বিক্রয় $ ৪.১৩ ট্রিলিয়ন ডলারে এবার একটু ভেবে দেখুন তো ই-কমার্স অগ্রগতি কেমন হচ্ছে শুধু তাই নয় ২০২৪ সালের মধ্যে সমস্ত ক্রয়ের 95৯% ইকমার্সের মাধ্যমে হবে ধারণা করতে বিশেষজ্ঞরা।বাংলাদেশে সেরা ২০ টি ওয়েবসাইট লিস্ট?

বিশ্বের দ্রুততম ইকমার্স বাজার হচ্ছে চীন। আপনি যদি 2022সালে অনলাইনে ব্যবসা করতে আগ্রহী হন তবে ই-কমার্সের পরিসংখ্যানের সাথে আপ টু ডেট থাকতে হবে কারণ আমরা সবাই জানি যে কোনও বাণিজ্যিক ক্ষেত্র বোঝার সর্বোত্তম উপায়টি হ’ল সত্য তথ্য এবং ডেটা।

ই-কমার্স বিজনেস – ঘরে বসেই শুরু করুন ই-কমার্স ব্যবসা? 2022 1

অল্প পুঁজিতে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করা যায় বলে বাংলাদেশ অনেক তরুণ তরুণীরা ই-কমার্স এর দিকে ঝুঁকতেছে। আমি অনেক ই-কমার্স ব্যবসায়িকে চিনি তারা অল্প পুঁজিতে শুরু করলো ই-কমার্স ব্যবসা তাদের কোন ওয়েবসাইট ও নেই রয়েছে শুধু একটা ফেইসবুক পেইজ এটা দিয়ে শুরু করলো ই-কমার্স ব্যবসা।

আসলে কি ফেইসবুক পেইজ দিয়ে কি ই-কমার্স করা সম্ভব হা সম্ভব, এটা একটা এফ-কমার্স ফেইসবুক অনেক মানুষ একটিভ থাকে তাই কম খরচে ফেইসবুক কে টার্গেট করে শুরু করে অল্প পুঁজিতে ফেইসবুক দিয়ে শুরু করে যায় তবে একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকলে এটা আপনার কাজ এবং আপনার পণ্য বিক্রি অনেক গুণ বেড়ে যাবে।

ফেইসবুকে হয়তে দেখেছেন অনেক মধু বিক্রি করতেছে, আর অনেকে জামাকাপড় বিক্রি করতেছে, শীতের কাপড় কালেকশন করে জামা কাপড় বিক্রি করতেছে তাদের কোন ওয়েবসাইট নাই তাদের রয়েছে একটা ফেইসবুক পেইজ এখানে থেকে ছোটখাটো ব্যবসা করতেছে ফেইসবুক থেকে একটু ভেবে দেখুন তো আজকে যদি তাদের ওয়েবসাইট থাকতো তাহলে তাদের ওয়েবসাইট যদি গুগল Rank থাকতো তাহলে কতই না বিক্রি করতে পারতো।

ফেইসবুক পেইজ vs ই-কমার্স ওয়েবসাইট?

ফেইসবুকঃফেইসবুক ই-কমার্স মূল চাবিকাঠি হলো ফেইসবুক। কেন ফেইসবুক মূল চাবিকাঠি হলো সোজা কথায় ফেইসবুক বেশি মানুষ একটিভ থাকে তাই আমাদের কাস্টমার ও ফেইসবুকে রয়েছে। ফেইসবুক পেইজঃ আপনি কি ই-কমার্স বিজনেস করতেছে কিংবা অনলাইন কিংবা অফলাইন বিজনেস করতেছেন তাহলে আপনার ব্যবসার জন্য একটা ফেইসবুক পেইজ থাকা অবশ্যক।

ফেইসবুকের মাধ্যমে মানুষ জানতে পারবে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে।বর্তমানে শতকরা ৯৫ জনের বিজনেস সম্পুর্নরূপে ফেসবুক পেইজে উপর নির্ভর। মার্কেটিং-এর কিছু বই যা পড়া উচিত নতুন উদ্যোক্তাদের?

ফেসবুক পেইজ সাজানো জন্য কি কি প্রয়োজন এক নজরে দেখে নিনঃ
পেইজের জন্য লোগো একটা ভালো লোগো
পেইজের জন্য কভার ব্যানার কিংবা একটা শট ভিডিও
সার্ভিস / শপ সেকশনে ইনফো দিতে হবে
এবাউট পেইজে কনটেন্ট ইনফো দিতে হবে
মেসেঞ্জার সেটআপ এবং অটো ম্যাসেজ রেস্পন্ডার সেটআপ করুণ
পেইজের রিলেটেড প্রতিদিন ৩-৫টা করে পোস্ট করুন প্রথম ২-৩ মাস। প্রথম অবস্থায় এইটুকু করতে হবে তার পরে ধাপ ফেইসবুকে লাইক বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে।
ফেসবুক পেজ বুস্ট করা লাগবে
প্রয়োজনে পোস্ট বুস্টিং
আপনার বিজনেস রিলেটেড সার্ভিস সম্পর্কে প্রতিদিন একটা করে পোস্ট করুন।
অফার দিন + প্রোডাক্ট নিয়ে মতামত দেয়ানেয়া করুণ।প্রোডাক্ট এর রিভিউ দিন।

ই-কমার্স বিজনেস – ঘরে বসেই শুরু করুন ই-কমার্স ব্যবসা? 2022 2

ই-কমার্স ওয়েবসাইটঃ ওয়েবসাইট কি?

ওয়েবসাইট বা ওয়েব সাইট অথবা শুধু সাইট হল কোন ওয়েব সার্ভারে রাখা ওয়েব পৃষ্ঠা, ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যায়। ওয়েব পৃষ্ঠা মূলত একটি এইচটিএমএল ডকুমেন্ট, যা এইচটিটিপি প্রোটোকলের মাধ্যমে ওয়েব সার্ভার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওয়েব ব্রাউজারের স্থানান্তরিত হয়। সমস্ত উন্মুক্ত ওয়েবসাইটগুলিকে সমষ্টিগতভাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) বলা হয়। আপনি যে আমার এই ব্লগটি পড়তেছেন সেটা ও একটা ওয়েবসাইট।৫টি ফ্রিল্যান্সিং স্কিল যার চাহিদা থাকবে সবসময় ?

ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন?

মনে করুন আপনার একটি ব্যবসা আছে ঢাকায় আপনি চাচ্ছেন এই ব্যবসাকে আরো কয়েক জেলায় বাড়াতে তাহলে আপনার থেকে ওই সব জেলায় গিয়ে একটা করে প্রতিষ্ঠান কিংবা অফিস খুলতে হবে। আপনি যদি চান আপনার ব্যবসা আপনি ঢাকতে বসে অন্য জেলাতে ও করবেন তাহলে আপনাকে অনলাইনে এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে জানাতে পারেন।

অনলাইনে মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে আরো দূত মানুষের কাছে পৌঁছেতে পারবেন কেননা বর্তমান সময়ে অনলাইন মানুষ পাওয়া খুবই সহজ। ওয়েবসাইট তৈরিতে খুব বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় না। এটি আপনার ব্যবসাকে ২৪ ঘন্টা একটিভ থাকে আপনার কাস্টমার যদি রাত ২ টাই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করলে ও আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবে।

আপনার ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট থাকলে আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকরা অনলাইনে আপনার এবং আপনার সকল পণ্য সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবে।আপনার থেকে কষ্ট করে পণ্য দামাদামি ও করতে হবে না আপনার ওয়েবসাইটে আপনার পণ্য সম্পন্ন ডিটেইলস দেওয়া থাকে বিদায় আপনার কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী সব দেখতে পারে।বিখ্যাত বইয়ের তালিকা যেসব একবার হলেও পড়া উচিত?

ই-কমার্স বিজনেস শুরু করবো কিভাবে ?

বিজনেস করতে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান এবং কিছু নিদিষ্ট পরিমাণ টাকা আর সবচেয়ে বেশি লাগে সে বিজনেস এর প্ল্যান। ই-কমার্স ও তার বিপরীত নয়। আমরা যখন কোন কিছু ক্রয় করতে গিলে দোকানে যায় ই-কমার্স করতে গেলে একটা অনলাইনে দোকান প্রয়োজন হবে এই দোকানটা হবে মূলত একটা ওয়েবসাইট আপনার দোকান যত সুন্দর করবেন কাস্টমার ততই আপনার দোকানে আকৃষ্ট হবে।

অনলাইনে একটা দোকান কি করে বানাবেন (ওয়েবসাইট) এই পর্বে কি করে ওয়েবসাইট বানানো হবে তা নিয়ে আলোচনা করবো না তবে ওয়েবসাইট বনাতে কি কি প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ই-কমার্স বিজনেস – ঘরে বসেই শুরু করুন ই-কমার্স ব্যবসা? 2022 3

ই-কমার্স ব্যবসার জন্য প্রয়োজন?

নাম।
ডিজাইন।
প্রোডাক্ট।
ওয়েবসাইট /ফেইসবুক পেইজ/ ইনস্টাগ্রাম।
মার্কেটিং।

১।নাম: ভালো একটা নাম,মনে রাখবেন নামই হলো ব্র্যান্ড আপনার ব্যবসার নাম টা যেন খুব সুন্দর করে ছোট আর সহজ হয়। আপনার ব্যবসার জন্য যে নাম রাখবেন সেটা অবশ্যই অন্যকেউ আগে থেকে কোথায় ও ব্যবহার না করে থাকে, আপনার ব্যবসার নামে ডোমেইন থাকতে হবে ডোমেইন চেক করতে Name.com গিয়ে দেখতে পারেন। আপনার ব্যবসার নামটির নামে ফেইসবুক পেইজ থাকতে হবে, ইন্সটাগ্রাম থাকতে হবে যত সোশ্যাল মিডিয়ায় আছে সেখানে আপনার ব্যবসার নামে ইউজার নাম তৈরি করুন।

২।ডিজাইন: আপনার ১ম কাজ যদি শেষ হয় তাহলে ২য় কাজ শুরু করতে হবে তা হলো ডিজাইন। আপনার ডিজাইন যত সুন্দর হবে আপনার কাস্টমার ততই আকষ্মিক হবে। কি কি ডিজাইন প্রয়োজন আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ? ঘরে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অনলাইন থেকে আয় ?

★লোগো ডিজাইন আপনার ব্যবসার নামে লোগো ডিজাইন করতে হবে খুব সুন্দর এবং ইউনিক কারও সাথে মিলতে পারবে না। একজন ভালো ডিজাইনার কে দিয়ে লোগো ডিজাইন করা প্রয়োজন যাতে আপনার ব্যবসাটাকে সুন্দর করে ফুটে তুলে। একটা লোগোর জন্য ৪-৫ হাজার টাকা পযন্ত খরচ করতে পারেন টাকা কোন মেটার না ডিজাইন হলো মেইন বিষয়।

আপনি চাইলে ৪০০-৫০০ টাকা দিয়েও লোগো ডিজাইন করতে পারেন তবে ভালো ডিজাইনার পাবেন না।মনে রাখবেন লোগো হলো আপনার ব্র্যান্ড এর মূল সংকেত এটা দিয়ে লোকের কাছে পরিচিত হবে আপনার ব্যবসা।তাই আপনার ব্যবসার লোগোটা ভালো করে ডিজাইন করুন।

★একটা ভালো ফেইসবুক কভার পেইজ ডিজাইন করুন।

★আপনার ব্যবসার নামে একটা বিজনেস কার্ড ডিজাইন করুন।

★ব্যনার ডিজাইন প্রয়োজন তবে এটা পরবর্তী তে লাগবে।

★ফেইসবুক পেইজে নিয়মিত ২টা করে ডিজাইন করে আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড ডিজাইন করে তা আপনার ফেইসবুক পেইজে এবং ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করুন ।

৩। প্রোডাক্টঃ এবার আসি আপনি ই-কমার্স বিজনেস করবেন। তাহলে আপনাকে প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে মনে করুন আপনি বাচ্চাদের খেলনা নিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন তাহলে আপনাকে দেখতে হবে বাচ্চাদের অনেক খেলনা আছে কোন গুলো দিয়ে শুরু করবেন।প্রথম অবস্থায় আপনি ৫-৬ বছরের বাচ্চাদের খেলনা দিয়ে ই-কমার্স শুরু করতে পারেন। শুরু করার আগে ৫-৬ বছরে বয়সে বাচ্চারা কি কি খেলনা নিয়ে খেলতে পছন্দ করে তা নিয়ে রিসার্চ করে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করা উচিত না হলে আপনার ই-কমার্স ব্যবসা তেমন সফল হবে না ভালো করে রিসার্চ করে করে শুরু করুন ইন-শা-আল্লাহ সফল হবেন।

৪। ওয়েবসাইট /ফেইসবুক পেইজ/ইনস্টাগ্রামঃ একটা ওয়েবসাইট হলো ইনকাম এর মডেল এটা শুধু ওয়েবসাইট না এটা হলো টাকার গাছ।পণ্য বিক্রি করতে যেমন দোকান লাগে অনলাইন ব্যবসা করতে একটা ই-কমার্সে ওয়েবসাইট প্রয়োজন। একটি ই-কমার্স সাইট এখানে দোকান হিসেবে কাজ করে।

তাই ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে প্রথমেই বেচাকেনার একটা সাইট বানাতে হবে। এই ওয়েবসাইট থাকবে আপনার সকল পণ্য এইখানে আপনার কাস্টমার এসে তাদের চাহিদা মতো পণ্য ক্রয় করবে। হয়তে বুঝতে পেরেছেন ওয়েবসাইট কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটা ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন। ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে উন্নত মানের ভালো রেসপন্স হতে হবে মোবাইলে এবং কম্পিউটারে উভয়ে দিকে।

বাংলাদেশে বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনেক কম খরচে ভালো মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়। মনে রাখতে হবে ভালোমানের ওয়েআসাইট না হলে আপনার কাস্টমার থেকে ভালো ফিডব্যাক আশা করতে পারবেন না। ওয়েবসাইট তৈরির জন্য কয়েক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে।

১। নিজের তৈরি ওয়েবসাইট। ২। অন্য কাউকে ভাড়া করে তৈরি ওয়েবসাইট।

নিজের তৈরি ওয়েবসাইটঃ আপনার যদি WordPress নিয়ে মোটামুটি নলেজ থাকে তাহলে আপনি নিজেই একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ইউটিউব থেকে দেখে দেখে একটা মানসম্মত একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগবে। ১। একটা ডোমেইন নাম একটা ভালো কোম্পানির থেকে একটা হোস্টিং। ২। একটা ভালো ই-কমার্স থিম এবং কয়েকটি প্লাগিন প্রয়োজন। তারপর কাজ শুরু করতে পারেন।যদি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে সমস্যা হয় তাহলে ভালো একজন ডেভলপার কে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন।

মনে রাখবেন আপনার ওয়েবসাইট যেমন সুন্দর হবে কাস্টমার ততই আপনার ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করতে আগ্রহ হবে।যারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তারা যেন কোন সমস্যা ফেস না করে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আপনার ওয়েবসাইট টা তৈরি করুন। মনে রাখবেন মানুষ দিন দিন প্রযুক্তির দিকে নির্ভর হচ্ছে। প্যাসিভ ইনকাম

ভবিষ্যতে ই-কমার্স ব্যববাসা অনেক বড় মার্কেটে পরিণত হবে আইটি বিশ্লেষক দের ধারণা। আপনার যে বিষয় নজর দিতে হবে ভালো একটা ওয়েবসাইট। Daraz Chaldal, bdshop, Ajkerdeal এই ওয়েবসাইট গুলো দেখুন। এরা অনেক এগিয়ে আসে বর্তমান ই-কমার্স ব্যবসায়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই আপনি ও আজ থেকে শুরু করতে পারেন আপনার ব্যবসা আপনার তাদের ব্যবসা তাদের। আপনি যদি ওদের চাইতে ও ভালো সেবা দিতে পারেন তাহলে কাস্টমার আপনার কাছে ছুটে আসবে।

৫. মার্কেটিংঃ উপরের স্টেপ গুলো হয়ে গেলে এবার আসতে হবে মার্কেটিং। কোন পণ্য তৈরি করলাম যদি সেটা ঠিক মতো প্রচার করতে না পারলে তাহলে পণ্য টা তেমন বিক্রি হবে না। পণ্য বিক্রি করতে হলে মার্কেটিং কে খুবই গুরুত্ব দিতে হবে আপনার পণ্য সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে পারলে তাহলে আপনার পণ্যটি বিক্রি হওয়ার সম্ভব বনা অনেক গুন বেড়ে যায় মার্কেটিং এর প্রতি ভালো ভাবে নজর দিন। সঠিকভাবে মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করুন আপনার ই-কমার্স যাত্রা আজ থেকেই শুরু হোক।

আপনার কাছে থাকা প্রশ্ন ?
ই কমার্সের যুগে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশে ই-কমার্সের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অনেক ভালো হবে। স্ট্যাটিস্টার পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছর বাংলাদেশে ই–কমার্সের আকার দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এবার একটু কল্পনা করে দেখুন ই-কমাসের্র যুগ বাংলাদেশ কেমন হবে।

Comment (1)

  1. Najmul Ovi Jun 20, 2022

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ