Engineer না হয়ে কয়েক’শ কর্মীর প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনার পর রাইসুল কবির শুধুমাত্র একজন প্রকৌশলী হিসেবে আত্মপ্রকাশ না করে, হয়ে ওঠেন উদ্যোক্তা। ব্রেইনস্টেশন-২৩ (Brain Station-23) নামক প্রতিষ্ঠানটির কো ফাউন্ডার এবং সিইও ( চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার) রাইসুল কবির।

প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারন্যাশনালি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বের কয়েকটি দেশকে (ইউএসএ, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি) সফটওয়্যার ও আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমাধান দিয়ে আসছে, যেমন: বিগ ডাটা, ক্লাউড টেকনোলজিস। বর্তমানে ব্রেইনস্টেশন-২৩ বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটকে বিভিন্ন ধরণের সেবা দেওয়া শুরু করেছে।

লোকাল মার্কেটে আইটি সলিউশন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ই আর পি সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো সিটি টাচ অ্যাপটি তৈরী, যেটি সিটি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ। ব্রেইন স্টেশনের পাশাপাশি রাইসুল কবির নপস্টেশন এবং ই- কমার্স সাইট বিপণীর ফাউন্ডার।

রাইসুল কবিরের বাবা-মা ছিলেন দু’জনেই শিক্ষক। পড়েছেন গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে এবং নটরডেম কলেজে। ঢাকার মহাখালির ওয়ার্লেস একালার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠেন তিনি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আগে থেকেই তিনি প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যারের কাজ করতে শুরু করেন। ASP (এএসপি), PHP ( পিএইচপি) এই প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোতে তিনি দক্ষ ২০০০ সালের শুরু থেকেই।

এরপর ২০০৬ সালে নিজের মনের মতো কাজ করার লক্ষ্যে এবং দেশকে কিছু দেওয়ার উদ্দেশ্যে আরো ৩ জনকে অর্থাৎ মোট ৪ জন মিলে শুরু করেন যাত্রা, এরপরই এগিয়ে যাওয়ার শুরু। এর আগে ২০০৩ সালে তিনি প্যারাডাইম নিওমিডিয়া নামে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও আইটি সলিউশনের জন্য প্রতিষ্ঠান তৈরী করলেও তা শেষমেশ টেকেনি।

এখন কয়েকশত লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এই ব্রেইনস্টেশন-২৩ এর পরিসর বড় হবার মাধ্যমে। রাইসুল কবিরের স্বপ্ন ছিলো দেশের মেধাবী তরুণদের কর্মসংস্থান হবে এবং দেশের জন্য বৈদশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন, এই স্বপ্নই তাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ