ইউটিউব থেকে ৮ টি উপায়ে আয় করুন লক্ষ লক্ষ টাকা 2022 আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আপনারা সবাই জানেন ইউটিউব একটা ভিন্নধর্মী প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে ইনকাম করে অনেকেই কোটিপতির তালিকায় রয়েছেন। আবার অনেকেই মোটামুটি বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন। বিশ্বের কথা না বলি আমাদের বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ইউটিউব থেকে ইনকাম করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস ইউটিউব।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কিভাবে আপনারা ৮ টি উপায় অবলম্বন করে ইউটিউব থেকে খুব সহজেই ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।
বন্ধুরা ইতিমধ্যেই ইউটিউব প্লাটফর্মে যাদের ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে অথবা যারা ভাবছেন একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইউটিউব কে নিজের ক্যারিয়ার হিসাবে গড়ে তুলবো। আমি মনে করি তাদের জন্য আজকের টিপসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই টিপসটি কেউ মিস করবেন না।
আজকের টিপসে নতুন কিংবা পুরনো যত ইউটিউবার ভাই কিংবা বোন রয়েছেন সকলেই জানতে পারবেন, শিখতে পারবেন নতুন একটি অনন্য উপায়ে ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার ৮ সুন্দর পন্থা।
সত্যিকার অর্থে এই আটটি পন্থা অবলম্বন করে আপনি চাইলেই ইউটিউব থেকে একটা মোটা অংকের অ্যামাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। এই ৮ টি উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে আমার পুরো লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, আশা করি আপনাদের অনেক উপকার হবে এবং যারা ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন কখনো চিন্তাও করেন নি, তারাও ইউটিউব চ্যানেল খুলতে বাধ্য হবেন ইনশাআল্লাহ।
বন্ধুরা ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে পন্থা,
১. গুগল অ্যাডসেন্স সিস্টেম আয়:
আপনারা অনেকেই হয়তো বা জানেন গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক টাকা আয় করা যায়। আপনি যখন প্রথমে ইউটিউবে এসেই একটা চ্যানেল খুলবেন তখন আপনি যেদিন থেকে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন সেদিন থেকে শুরু করে বিগত ১২ মাসে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১,০০০ (হাজার) সাবস্ক্রাইবার পাশাপাশি ৪,০০০ (হাজার) ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকবে।
আর তখনই আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য? মানে মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এর মাঝে আবার কিছু শর্ত রয়েছে যেমন, আপনার প্রতিটা ভিডিও ইউনিক হতে হবে, কোন প্রকার কপি বা কঁপিরাইট ক্লাইম, কপিরাইট স্ট্রাইক, এবং রিউইজ কন্টাক্ট ইত্যাদি বিষয় থাকতে পারবে না।
পরবর্তীতে আপনি যখন ইউটিউবে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করার পর এপ্রোভাল পেয়ে যাবেন, আপনি তখন গুগোল অ্যাডসেন্সে একাউন্ট ক্রিয়েট করে আপনার গুগল এডসেন্স এর সাথে আপনার ইউটিউব চ্যানেল টাকে লিংক আপ করে দিয়ে এডভার্টাইজিং সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন এ বিষয়ে কোনো প্রকার সন্দেহ নেই।
অথবা আপনারা এটাকে এড রেভিনিউ হিসেবে বলতে পারেন অথবা একেবারে সহজে আপনাদেরকে বুঝানোর জন্য, আপনারা যখন ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখেন তখন ভিডিওটা চলাকালীন অবস্থায় আপনাদের সামনে একটা বিজ্ঞাপন চলে আসে সাধারণত সেই বিজ্ঞাপনটা আপনি দেখার মাধ্যমেই চ্যানেল মালিককে এডসেন্স থেকে টাকা দিয়ে থাকে।
এটা প্রথম মাধ্যম আপনি এভাবে ইউটিউব চ্যানেল কে ইউটিউবে দাঁড় করিয়ে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন পরবর্তীতে যখন এডসেন্স কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন এপ্রুভ করে দিবে আপনি তখন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
২. ইউটিউব স্পন্সার শীপ এর মাধ্যমে আয়:
ইউটিউবে স্পন্সরশীপের মাধ্যমে আপনি অ্যাডসেন্সে যত টাকা পাবেন এর চাইতে অধিক গুন টাকা আপনি স্পন্সর শীপের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তবে স্পন্সর শীপ থেকে যদি আপনি টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আপনার চ্যানেলটা একটা ভালো পর্যায়ে যেতে হবে পাশাপাশি আপনার কনটেন্ট গুলো অনেক উন্নত হতে হবে।
আপনি চাইলেই ইউটিউব একটা নরমাল কনটেন্ট আপলোড দিলেন, এভাবে নরমাল কনটেন্ট দিলে আপনি স্পনসর্শিপ পাবেন না। যদি ও আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মিলিয়ন প্লাস সাবস্ক্রাইবার তারপরও আপনি স্পনসর্শিপ পাবেন না। যদি আপনার কনটেন্ট কোয়ালিটি ভালো না থাকে।
কারণ, যখন আপনি কারো কাছে স্পনসর্শিপ চাইবেন কিংবা কোন কোম্পানির মালিক আপনার ইউটিউব ভিডিওতে স্পনসর্শিপ দেওয়ার জন্য আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে, তখন সে প্রথমে জানতে চাইবে? আপনার ভিডিও কোয়ালিটি কেমন? আপনি কি রিলেটেড ভিডিও নিয়ে কাজ করেন? আপনার ভিডিওতে কিরকম ভিউজ আসে? ইত্যাদি বিষয়ে জানার পর সে অনুযায়ী যদি তার আপনার কথা বার্তার ভিতর দিয়ে যদি আপনার চ্যানেলটাকে সে পছন্দ করে, তাহলে সে স্পন্সার শীপ দেবে এছাড়া কিন্তু আপনি স্পন্সার শীপ পাবেন না।
মেইন কথা হচ্ছে আপনি যদি চান কেউ আপনার ভিডিওতে স্পন্সার শীপ দেক তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার ভিডিও অনেক হাই কোয়ালিটি সম্পূর্ণ তৈরি করতে হবে। এছাড়া হাই কোয়ালিটি যদি ভিডিও বানাতে চান তাহলে আপনি, ইন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও নিয়ে কাজ করতে পারেন যেমন বড় নাটক, ছোট নাটক, সিরিয়াল নাটক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করলে স্পন্সার শীপ খুব সহজেই পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তবে আপনি টেকনোলজি নিয়ে ভিডিও করেন কিন্তু আপনার সাবস্ক্রাইবার ০১ মিলিয়ন এর অধিক পাশাপাশি আপনার ভিডিওতে অনেক ভিউজ আসে তার পরেও কিন্তু আপনি স্পন্সার শীপ পাবেন না। কারন এই সব ভিডিওতে মানুষ স্পন্সার শীপ দেয় না। আর এইসব ভিডিও ৫ থেকে ১০ মিনিটের ভিতরে বেশির ভাগ হয়ে থাকে, আর এই অল্প ভিডিওর ভিতর কি স্পন্সার শীপ দিবে মানুষ।
স্পন্সর শীপ কখন পাওয়া যায়?
সাধারণত কোন ইউটিউব চ্যানেলের যখন ৫০,০০০ (হাজার) প্লাস সাবস্ক্রাইবার হয়ে যায় তখন থেকেই তাদের স্পন্সার শীপ এর অফার গুলো আসা শুরু করে। তবে ওই যে প্রথমে বলছি ভিডিও কোয়ালিটি এবং ভাল কনটেন্ট এবং প্রচুর পরিমাণ ভিউজ থাকতে হবে ভিডিওতে তাহলেই স্পন্সার শীপ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এছাড়া আপনার ভিডিও তে যতই ভিউজ আসুক বা সাবস্ক্রাইবার আসুক না কেন আমি মনে করি আপনি কখনো স্পন্সর শীপ পাবেন না। এখন আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন নিশ্চয়ই আসবে,
মানুষ কিভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করে আমার ভিডিওতে স্পন্সার শীপ দিবে?
উত্তর: আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের এবাউট সেকশনে আপনার একটা ইমেইল দিয়ে দিবেন এবং লিখে দিবেন স্পন্সর দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন। পাশাপাশি আপনার প্রতিটা ভিডিওর ডেসক্রিপশন বক্সে আপনি একটি ইমেইল দিয়ে দিবেন, তাছাড়া আপনি চাইলে আপনার মোবাইল নাম্বার ও দিতে পারেন, আর লিখে দেবেন স্পন্সর এর জন্য যোগাযোগ করুন। তাহলেই আপনি স্পন্সার শীপ পেতে পারেন আর সাধারণত এভাবেই বড় বড় ইউটিউবাররা স্পন্সার শীপ গুলো পেয়ে থাকেন।
স্পন্সার শীপ এর ধারা:
স্পন্সার শীপ সাধারণত অনেক প্রকার হয়ে থাকে, যেমন আপনি কোন কোম্পানির স্পন্সর পেতে পারেন বা কোন প্রোডাক্টের স্পন্সর পেতে পারেন। এই দুইটা স্পনসর অনেক বেশি পাওয়া যায়। অথবা আপনার কনটেন্ট রিলেটেড অন্য কোন চ্যানেলের মানুষ আপনাকে দিয়ে ভিডিও বানিয়ে তাদের চ্যানেলে আপলোড করাবে। এরকম স্পন্সর ও পেতে পারেন, এতে করে তাদের চ্যানেল প্রমোট হবে ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।(তবে এই স্পন্সর খুব কমই দেখা যায়।)
৩. ইউটিউব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে হয়তো বা আপনি এই পর্যন্ত অনেকের মুখ থেকেই অনেক কিছু শুনেছেন। যেমন আপনি অ্যাপেলেট মার্কেটিং করে, বিশ্বের একটি সর্ববৃহত্তম্ অনলাইন শপ অ্যামাজন সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারেন। পাশাপাশি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনার ইউটিউব থেকেও অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
শুধুমাত্র অ্যামাজন থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করবেন তা কিন্তু নয়। আপনি আপনার ইউটিউব থেকে ও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
বিভিন্ন প্রকার ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে, অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ডেসক্রিপশন বক্সে সেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংকটা প্রোভাইট করে টাকা আয় করতে পারেন।
তবে সর্থ হচ্ছে আপনার ইউটিউব ডেসক্রিপশন বক্সে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংক দিবেন, সেই লিঙ্ক থেকে যদি কেউ ক্লিক করে কোন প্রোডাক্ট কিনে তাহলে আপনার আয় হবে, আর লিংক থেকে প্রোডাক্ট কেউ না কিনলে আপনার কোনো প্রকার আয় হবে না। আর যখন ঐ লিংকে ক্লিক করে কেউ প্রোডাক্ট কিনবে তখন সাথে সাথেই সেই প্রোডাক্টের সম্পূর্ণ মূল্য কিছুটা পার্সেন্টিস আপনার একাউন্টে যোগ হয়ে যাবে।
(এক একটি ই – কমার্স ওয়েবসাইটে এক এক রকম টাকা দিয়ে থাকে) আর আপনি চাইলেই সেটা আপনার ব্যাংক একাউন্টে অ্যাড করতে পারবেন। আবার অনেক ওয়েবসাইটে বিকাশ, রকেট ইত্যাদি এড করা থাকে আর আপনি চাইলে এগুলোর মাধ্যমে ও আপনার টাকা টা উত্তোলন করতে পারবেন।
৪. ইউটিউব ব্র্যান্ডিং প্রমোশন করে আয়:
ব্রান্ডিং প্রমোশন হচ্ছে যেমন উদাহরণ স্বরূপ আমাদের বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবারদের যারা ভিডিও দেখেন তাদের ভিডিওর মাঝখানে একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন তাদের ভিডিওতে রবি সিম কোম্পানির, অনলাইন শপ ইভ্যালি, দারাজ অনলাইন শপ এর লোগো থাকে, গ্রামীণফোনের লোগো থাকে ব্র্যাক ব্যাংকের লোগো থাকে এরকম বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর লোগো থাকে ভিডিওর একটি কনারে যেখানে ওয়াটারমার্ক থাকার কথা সে জায়গায় তারা ওই কোম্পানির লোগো টা দেয় পাশাপাশি তাদের লোগো দেয় কিন্তু তারা ওই লোগো টা বেশি ব্যবহার করে বা হাইলাইট করে। যেটা ব্র্যান্ডিং প্রমোশন পায় আর ওইটা কেই ব্র্যান্ডিং প্রমোশন বলে।
সাধারণত ব্রান্ডিং প্রমোশন ওই সব ভিডিও গুলো ক্ষেত্রেই হয় এবং আমরা খালি চোখে দেখে থাকি। যেমন ছোট নাটক, বড় নাটক, সিরিয়াল নাটক, বড়, ছোট সিনেমা তে দেখে থাকি ওই জায়গায় তাদের ভিডিও গুলোতে ব্র্যান্ডিং প্রমোশন দেয় বড় বড় কোম্পানিরা।
যেমন নাটকের ভিডিওর একটা কনারে দেখা যায় ইভ্যালি কোম্পানির লোগো বা প্রাণ আপ কম্পানির লোগো ইত্যাদি এটাই হচ্ছে মূলত ব্রান্ডিং প্রমোশন, এর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল মালিকরা লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।
এরকম ভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল যখন অনেক পপুলার হয়ে যাবে বিপুল পরিমাণ সাবস্ক্রাইবার থাকবে এবং প্রতিটা ভিডিও তে বিপুল পরিমাণ ভিউজ হবে। তখন আপনার ভিডিওতে ও বড় বড় কোম্পানিগুলো ব্র্যান্ডিং প্রমোশন দিবে বা দিতে আগ্রহী হবে।
ব্র্যান্ডিং প্রমোশন কতদিনের চুক্তি হয়?
যখন কোন কোম্পানি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ব্র্যান্ডিং প্রমোশন দিবে তখন সেটা আপনার সাথে একমাসের চুক্তি ও হতে পারে কিংবা এক বছরের চুক্তি ও হতে পারে বা দুই বছরের চুক্তি হতে পারে এভাবে আপনার সাথে বিভিন্ন সময়ের চুক্তি হতে পারে। তবে সেটা ডিপেন্ড করবে কোম্পানির মালিকের উপর পাশাপাশি আপনার চ্যানেলের ওপর অনেকটাই ডিপেন্ড করবে।
৫. ইউটিউবে প্রডাক্ট সেলিং করে আয়:-
আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোন প্রকার ভালো কোয়ালিটি সম্পূর্ণ কন্টেন যদিও না থাকে এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি মনিটাইজেশন নাও থাকে তা হলেও আপনি ইউটিউব প্রডাক্ট সেলিং এর মাধ্যমে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কিভাবে প্রডাক্ট সেলিং করব?
যেমন ধরেন আপনার যদি কোন রকমের বিক্রি করার মতো প্রোডাক্ট থাকে বা আপনি যদি চান তাৎক্ষণিক একটা বিজনেস শুরু করবেন। সেটা হতে পারে যেকোনো কিছুর উপর কিংবা আপনার যদি কোন ব্যবসা-বাণিজ্য থাকে, তাহলে আপনি ইউটিউবে একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনি আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড কোম্পানি রিলেটেড ভিডিও তৈরি করেন। তারপর সেই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেন।
পাশাপাশি ভিডিও ডেসক্রিপশন বক্সে আপনার প্রোডাক্টের বা কোম্পানির লিংক দিয়ে দেন, যাতে করে খুব সহজেই লিংক ক্লিক করে মানুষ আপনার প্রোডাক্ট কিনতে পারে। আর এভাবে যদি দর্শক আপনার ভিডিও দেখে প্রলুব্ধ হয় আপনার প্রোডাক্ট কেনার জন্য, তাহলে আপনি এখান থেকেও ব্যাপক টাকা ইনকাম করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
কি প্রোডাক্ট বিক্রি করব বা করবেন?
যেমন ধরেন আপনারা মেয়েদের মেকআপ বিক্রি করলেন। থ্রিপিস ওড়না মেয়েদের যাবতীয় জিনিস আপনারা বিক্রি করলেন। বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করলেন, জুতা, ছোট বেবিদের যাবতীয় জিনিস বিক্রি করলেন।
এভাবে কিন্তু বাংলাদেশে কিংবা বিশ্বে অনেক ইউটিউবে রয়েছেন তারা শুধু মেকআপ বিভিন্ন রকমের তাদের প্রোডাক্ট নিয়ে ভিডিও করে এতে করে তারা প্রচুর পরিমাণ ভিউয়ার্স পায়। এবং তাদের চ্যানেলে বিপুল পরিমাণ সাবস্ক্রাইবার থাকে।
প্রথম কথা হচ্ছে তারা প্রোডাক্ট তৈরি করল সেখান থেকে তো তাদের ইনকাম হচ্ছে। পাশাপাশি তারা ইউটিউব থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা ইনকাম করতেছে। যেমন বিশ্বে কিংবা বাংলাদেশের যারা প্রোডাক্ট নিয়ে ভিডিও করে তাদের চ্যানেলে প্রচুর সংখ্যক ভিউয়ার্স আসে এবং তাদের চ্যানেলে অনেক সাবস্ক্রাইবার থাকে।
যেমন, bd shop with sharmin, saj ghar এভাবে অনেক চ্যানেল রয়েছে তবে আপনাদের দেখানো সুবিধার্থে এই দুইটার নাম লিখে দিয়েছি এ দুইটা চ্যানেলের নাম লিখে ইউটিউবে সার্চ করেন দেখবেন তাদের চ্যানেলের জনপ্রিয়তা কিরকম। তারা শুধু প্রোডাক্ট নিয়ে ভিডিও করে। আর এভাবে তারা ইউটিউব থেকে এবং প্রোডাক্ট বিক্রি করে মাস শেষে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতেছে। আপনি চাইলে এটা করতে পারেন ইউটিউব প্রডাক্ট সেলিং।
৬. ইউটিউব বিজনেস মার্কেটিং:-
আপনার যদি কোন ব্যক্তিগত বিজনেস থাকে, যেমন ধরেন আপনার কোন ছোট একটা ইনস্টিটিউট বা কোম্পানি থাকে যেটাই থাকুক না কেন? ধরেন আপনি সেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা লোগো ডিজাইন বা লোগো ডিজাইন এর কাজ করেন। তাহলে কিন্তু আপনি আপনার নিজস্ব বিজনেসটা কে দিয়েই ইউটিউব মার্কেটিং করতে পারবেন।
যেমন উদাহরণ স্বরূপ, আপনি একটা লোগো ডিজাইন করছেন বা একটা গ্রাফিক্স ডিজাইন করছেন। আপনি লোগো ডিজাইন টা কিভাবে করছেন এটা নিয়ে আপনি ইউটিউবে একটা ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করতে পারেন। আপনি লোগো ডিজাইন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন যখন করতেছেন সাথে সাথেই আপনি স্ক্রিন রেকর্ড করে সেটা ধারণ করতে পারেন পাশাপাশি আপনার ভয়েস দিয়ে কিভাবে কি করতেছেন ইত্যাদি দর্শকদের কে বুঝিয়ে দিলেন আমি এটা কিভাবে করতেছি আপনারা ও চাইলে এটা এভাবে করতে পারেন।
কিংবা ভিডিওতে বলতে পারেন আমার কাছ থেকে ডিজাইন করে নিতে পারেন এই ডিজাইনের জন্য এত টাকা প্রয়োজন এই ডিজাইনের জন্য এত টাকার প্রয়োজন আপনি সেটা ভিডিওর মাঝখানে উল্লেখ করে দিলেন। পাশাপাশি আপনার ডিজাইনের কিছু ডেমো ভিডিওতে দিলেন এবং আপনার গুগল ড্রাইভে কিছু ডিজাইনের ডেমো রাখলেন সেটা আপনার ভিডিও ডেসক্রিপশন বক্সে দিলেন, এগুলো দেখে যখন দর্শক প্রলুব্ধ হলো তখন আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হলো এক কথা দ্বিতীয় কথা আপনি ইউটিউব চ্যানেল থেকেও মোটামুটি ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৭. ইউটিউব চ্যানেলে কনটেন্ট রাইটিং করে আয়:-
আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কনটেন্ট রাইটিং নিয়েও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন ধরেন, আমরা যখন কেউ না কেউ গুগলে কোন একটা বিষয় সার্চ করি তখন আমরা কিন্তু কিছু না কিছু একটা পাই। তেমনি আপনি ইউটিউবে যে রিলেটেড ভিডিও করেন না কেন সেটা কোন সমস্যা নেই। আপনি ইউটিউবে কি ভিডিওটা বানালেন ভিডিওর মাঝখানে আপনি কি উপস্থাপন করলেন?
যেমন ধরেন আপনি একটা ব্লগ করলেন ঐতিহ্যবাহী স্থান নিয়ে। বা আপনি টেকনোলজি নিয়ে একটা ভিডিও করলেন এই ভিডিওগুলোর মাঝখানে আপনি কি উপস্থাপন করলেন। সেগুলো আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এ রূপান্তর করে আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন। এর জন্য আপনি গুগোল একটা ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করবেন সেটা যেকোন নাম হতে পারে তারপর আপনি ব্লগ বা টেকনোলজি নিয়ে যে ভিডিওটা করলেন সে ভিডিও তে আপনি যা যা উপস্থাপন করেছেন সে বিষয়ে আপনি বিস্তারিত লিখে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে আপলোড করলেন।
এবং আপনি যে ইউটিউবে ভিডিও করেছেন সে ভিডিও ডেসক্রিপশন বক্সে চাইলে আপনার সেই লিংকটা দিতে পারেন। এভাবে আপনি ইউটিউব থেকে ও আয় করতে পারতেছেন এবং ওয়েবসাইট থেকেও আয় করতে পারতেছেন। তবে হা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন থাকতে হবে।
তবে ওয়েবসাইটে মনিটাইজেশন করা খুবই সহজ। ইউটিউব এর মত এখানে কোনো প্রকার বিধি নিষেধ নেই যে এক হাজার সাবস্ক্রাইব ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম এরকম কোন বিধি-নিষেধ ওয়েবসাইটে নেই। তবে কপিরাইট সংক্রান্ত নিয়মকানুন গুলো কিন্তু নিশ্চয়ই রয়েছে।
আপনি ওয়েবসাইটে ৭০০ থেকে ১০০ ওয়ার্ডের ১০ টা ইউনিক কনটেন্ট আপলোড করেই কিন্তু আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করলে মনিটাইজেশন কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন অ্যাপ্রুভ করে দিবে। এবং ইউটিউব এর থেকে ওয়েবসাইটের আর্নিং টাও কিন্তু অনেক বেশি। আপনারা ওয়েবসাইটে কাজ করার পরেই বুঝতে পারবেন।
ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো?
ওয়েবসাইট কিভাবে বানায় হয়তো অনেকেই জানেন। আবার অনেকেই জানেন না তাই একটু ছোট করে আলোচনা করতেছি। যেমন একটা ডোমেইন, ১-২ জিবি হোস্টিং আর একটা থিম হলেই আপনার ওয়েবসাইট হয়ে গেল। বর্তমানে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় আপনি চাইলে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন কিংবা টপ লেভেল ডোমেইন কিনে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ফ্রি, ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য blogspot. কম এখান থেকে ইউ আর এল নিতে পারেন। টপ লেভেল ডোমেইন কেনার জন্য যে কোন কোম্পানি থেকে নিতে পারেন ডোমেইন। এভাবে কিন্তু ইউটিউব কনটেন্ট রাইটিং করে বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ প্রচুর টাকা ইনকাম করে। চাইলে আপনিও এটা করতে পারেন আশা করি সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।
৮. ইউটিউব ফেসবুক মার্কেটিং:-
বন্ধুরা আপনারা ইউটিউবে যেই রিলেটেড ভিডিও তৈরি করেন না কেন? সে রিলেটেড ভিডিও তৈরি করে কিন্তু আপনি ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন?
কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করে টাকা আয় করব?
যেমন উদাহরণ স্বরূপ ধরে নিন, আপনি ইউটিউব এর পাশাপাশি ফেসবুকে বেশির ভাগ সময় কাটান এবং আপনি বিভিন্ন সময় ফেসবুক পেইজের নানা রকম ভিডিও দেখেন। তখন কিন্তু ভিডিও দেখতে দেখতে হঠাৎ কোন একটা ভিডিওর মাঝখানে কিন্তু বিজ্ঞাপন চলে আসে, এবং সেটাও কিন্তু একটা গুগলের বিজ্ঞাপন। আর গুগলের বিজ্ঞাপন আপনারা দেখলেই খুব সহজেই চিনে ফেলবেন।
এভাবে কিন্তু তারা ফেসবুক পেজ থেকেও তারা লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতেছে। এভাবে কিন্তু আপনি ও ফেসবুকের মাধ্যমে একটা পেইজ দাঁড় করিয়ে আপনার ইউটিউব এর ভিডিও গুলো ফেসবুকে আপলোড করে। আপনার ফেসবুক পেইজ টাকে মনিটাইজেশন করিয়ে এখান থেকে ও কিন্তু আপনি প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুক পেজ মনিট্রাইজেশন করার শর্ত:
ফেসবুক পেজ মনিট্রাইজেশন করার জন্য আপনার প্রথমেই ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে এবং প্রথম তিন মাসের মধ্যে আপনার ৩০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম থাকতে হবে আপনার ফেসবুক পেইজে। আর কপিরাইট এবং নানা বিষয় যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনি মনিট্রাইজেশন এর আবেদন করলেই অ্যাপরুব পেয়ে যাবেন ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন। আর এভাবে আপনি ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করিয়ে ইউটিউব এর চাইতে অনেক গুণ টাকা বেশি আয় করতে পারবেন।
কারণ, ফেসবুকের ভিডিও ভাইরাল করা অনেক সহজ কিন্তু ইউটিউবে কিন্তু ভিডিও ভাইরাল করার জন্য একটু কষ্ট করতে হয় আর ফেসবুকে তেমনটা নয় ফেসবুকে আপনি একটা হাস্যকর কনটেন্টের ভিডিও দিলেন সাথে সাথেই সেটা ভাইরাল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। যেমন ইউটিউব থেকে ফ্রী সকল কিছু পাচ্ছেন।
কিন্তু ফেসবুক পেইজে আপনি সকল কিছু ফ্রী পাবেন না। যেমন, পেইজ প্রমোট করতে হবে আর পেইজ প্রমোটের জন্য অবস্যই ডলার প্রয়োজন হবে। এবং প্রতিটা ভিডিও বুষ্ট করতে হবে। বুষ্ট করার জন্য ও ডলার প্রয়োজন হবে। এভাবে টাকা খরচ করতে হবে।
বন্ধুরা এই ছিল আজকের টপিক। আপনারা ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন কিভাবে আপনারা ইউটিউবে ৮ টি পন্থা অবলম্বন করে আপনারা নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন কিংবা প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তো বন্ধুরা আমার লেখাটি পড়ে আপনি কোনটি করতে প্রলুব্ধ হলেন এবং কোনটি আপনি করবেন অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
কোথাও যদি আপনাদের বুঝতে প্রবলেম হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন ইনশাআল্লাহ আপনার মূল্যবান কমেন্ট পড়ে সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আসসালামু আলাইকুম।
Comments (No)