আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে টাকা আয় করবেন? আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং কি আপনারা কমবেশি সকলেই জানেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করা হয় হয়তো এই বিষয়ে কমবেশি সকলেরই ধারণা রয়েছে।
বর্তমান সময়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে। এমন অনেক লোক আছে যারা সাধারণত ঘরে বসে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার অনলাইন থেকে ইনকাম করছে।
আর বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে সেরা প্লাটফর্ম হল আমাজন। অনেকে চান যে আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। তাছাড়া আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।
যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন তাদের অনেকের পছন্দের একটি ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে আমাজন। আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে অনেক ব্লগার অনেক টাকা ইনকাম করে চলেছে প্রতিনিয়ত।
আজকে এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে বলবো আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা আমাজন এফিলিয়েট মারকেটিং কি, আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কিভাবে আয় করবেন, এবং আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? (Amazon Affiliate Marketing in Bangla)
আর্টিকেল সূচি
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? ( What is Amazon Affiliate Marketing?)
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট, বা পণ্যকে সেবামূলক প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া এবং লাভ থেকে কিছু অংশ কমিশন নেওয়া।
আর অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে Amazon associates Programme ব্যবহার করে বিক্রি করা।
এটি আমাজনের সরাসরি একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম যেটার মাধ্যমে যে কেউ এফিলিয়েট একাউন্ট তৈরি করে আমাজন এর প্রোডাক্ট পণ্যগুলো প্রচার করার মাধ্যমে খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন।
আপনাকে এই ক্ষেত্রে আমাজন থেকে তাদের প্রোডাক্টগুলো প্রচারের জন্য বিশেষ একটি রেফারেল লিংক দেওয়া হবে।
আপনি যদি এই রেফারেল লিংকের মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি বিক্রিকৃত প্রোডাক্ট এর উপর কমিশন পাবেন।
বর্তমান সময়ে আমাজন থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বা আমাজন থেকে টাকা আয় করার জন্য অনেকেই এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে থাকেন।
অবশ্যই দেখবেন:
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবেন?
- অনলাইন মার্কেটিং কি?: কিভাবে অনলাইন মার্কেটিং করবেন?
- অনলাইন জব করুন: ঘরে বসে মাসে ৫০+ হাজার টাকা আয় করুন
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবেন? (Why Do Amazon Affiliate Marketing?)
যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন তাদের জন্য আমাজন হচ্ছে সবচেয়ে লাভজনক একটি সাইট। আমাজন এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেক এফিলিয়েট মার্কেটারা অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করে নিচ্ছে।
তাছাড়া আমাজন হচ্ছে বিশ্বের সেরা ই-কমার্স ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটি যে সকল সুবিধা দিতে পারবে সেই সুবিধাগুলো অন্যান্য কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট দিতে পারবে না।
তাছাড়া আমার জন্য ওয়েবসাইটটি খুবই বিশ্বস্ত একটি ওয়েবসাইট এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য। তাই অনেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আমাজনকে বেছে নিয়ে থাকেন।
তাছাড়া আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার আরও অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে। আমাজন এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ফলে আপনারা খুব সহজেই রেফারেল লিংক ব্যবহার করে ভালো কমিশন পেতে পারবেন পণ্য বিক্রির মাধ্যমে।
যেটা অন্যান্য রেফারেল কোম্পানির কমিশনের চেয়ে অনেকটা বেশি।তাছাড়া বেশিরভাগ এফিলিয়েট মার্কেটার রা আমাজন কে পছন্দ করে থাকেন আরেকটি কারণ হচ্ছে এটি খুবই বিশ্বস্ত একটি ওয়েবসাইট।
তাই যারা অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাদের প্রথম পছন্দের ওয়েবসাইট থাকে আমাজন। এমন অনেক লোক আছে যারা শুধুমাত্র আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে তাদের লাইফ স্টাইল সহ ক্যারিয়ার সুন্দরভাবে চালিয়ে নিতে পারছেন।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিভিন্ন সুবিধা (Benefits of Amazon Affiliate Marketing)
অনলাইনে অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে আপনারা যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সেখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু যারা অনেক বছর থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আসছে তাদের এই ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দের নাম হবে আমাজন।
আর কি কারনে আমাজন তাদের প্রথম পছন্দের নাম হবে সেটাও আমি আপনাদেরকে আসতে আসতে বলছি। আমাজনের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার রয়েছে অসংখ্য সুবিধা। নিচে আমার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার কয়েকটি সুবিধা সম্পর্কে বলা হলোঃ
প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন
আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি আমাজন হচ্ছে বিশ্বের সেরা ই- কমার্স ওয়েবসাইট। আপনি এই ওয়েবসাইটটিতে এমন অসংখ্য পণ্য পাবেন যেসব পণ্য গুলো আপনি হয়তো সারাদিন খুঁজলেও অফলাইন মার্কেটগুলোতে পাবেন না।
তাছাড়া আপনি আমাজনের মাধ্যমে নতুন পুরাতন সব ধরনের প্রোডাক্ট বা পণ্য খুব সহজেই চাইলে খুঁজে বের করতে পারবেন।
এখানে আপনি কমদামের থেকে শুরু করে ব্রান্ডের নন-ব্র্যান্ডের আরো অনেক ধরনের কত কি জিনিস পাবেন তা সম্পর্কে আপনার নিজেরও ধারণা নেই।
তাই আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আমাজনের এই প্রোডাক্ট গুলো প্রমোট করার মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করে এখান থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ খুব সহজেই উপার্জন করতে পারবেন। যা সাধারণত আমাজন এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার দারুন একটি সুবিধা।
আমাজনে এফিলিয়েট খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন
আপনারা চাইলে আমাজনে খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। আপনারা এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন Amazon associates program।
আপনাকে এই ক্ষেত্রে তেমন বেশি কিছু করা লাগবে না। আপনি চাইলে আমাজন এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন।
আপনি এই ক্ষেত্রে আপনার ইমেইল আইডি ব্যাংক একাউন্ট, এবং মোবাইল নাম্বার এর মাধ্যমেই আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।
আপনি এখানে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন এবং এখান থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আমাজন বিশ্বের সেরা কোম্পানি
আমাজন হচ্ছে বিশ্বের সেরা ই-কমার্স কোম্পানি। মার্কেটিং এর কথা চিন্তা করলেই আমাজনের কথা সর্বপ্রথম আমাদের মাথায় আসে।
তাহলে অবশ্যই আমাজন তাদের গ্রাহকদের সঠিক সুবিধা দিতে পারে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে।
তাছাড়া এ কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছে বিশ্বস্ততার সাথে যার জন্য অনেকে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর দিকে ঝুঁকেছে।
আপনারা চাইলে খুব সহজেই আমাজনের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করে নিতে পারবেন যদি আপনি সঠিকভাবে কাজ করে যেতে পারেন।
আর আপনি এখান থেকে ইনকামকৃত টাকা খুব সহজেই আমাজন একাউন্টের মাধ্যমে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন যা সাধারণত এর দারুন একটি সুবিধা।
আর আমাজনকে মানুষ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে কেননা এটি একটি নির্ভরযোগ্য ই-কমার্স সাইট এবং এই সাইটটিতে টাকা মার যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
আরও দেখুন:
- ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার সেরা ১০টি উপায়
- কুইজ খেলে টাকা ইনকাম ২০২২ (আয় করুন সহজেই)
- এসইও কি?: কিভাবে এসইও শিখবেন বাংলাতে বিস্তারিত?
প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন
আমাদের দেশে এমন অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আছে যারা শুধুমাত্র আমাজন এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করে চলেছে। আর আপনি এখানে সীমাহীনভাবে আয় করতে পারবেন যার কোন সীমাবদ্ধতা নেই এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে।
আপনি যত বেশি পরিমাণ আমাজনের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারবেন আপনার ইনকাম এর পরিমাণ কিন্তু ততটাই বৃদ্ধি পাবে এই ক্ষেত্রে।
আপনি যখন আমাজনে একাউন্ট করবেন তখন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যোগদানের মাধ্যমে তারা আপনাকে একটি রেফারেল লিংক দেবে আপনি চাইলে এই লিংকটি ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন আমাজনের।
তারপর আপনার ওই লিঙ্ক থেকে যত বেশি সংখ্যক মানুষ প্রোডাক্ট কিনবে তত বেশি আপনার আয় হতে থাকবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে এই ক্ষেত্রে আপনি সীমাহীন আয় করতে পারবেন যার নির্দিষ্ট কোনো গণ্ডি নাই।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন
আপনি চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। তবে আপনি যেভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ করে যেতে হবে। তাহলে চলুন এবার জেনে নেয়া যাক আমার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কেঃ
১.ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনি চাইলে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেই ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আমাজনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার যত পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি এবং এই পদ্ধতিতে আপনি খুব দ্রুতই সীমাহীন টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনাকে এই ক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব চ্যানেল টির সাথে আমাজন অ্যাকাউন্টটি কে কানেক্ট করতে হবে এবং সেখান থেকে রেফারেল লিঙ্ক নিয়ে সরাসরি আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলোতে ডেসক্রিপশনে ব্যবহার করতে হবে।
আমার দেখা অনেক ইউটিউবার আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে।
আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করে যেতে পারেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তাহলে অবশ্যই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন বলে ভেবে থাকেন তাহলে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে তার মাধ্যমে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
২.ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাজন আফিলিয়েট মারকেটিং
আপনার নিজের ব্যক্তিগত যদি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনার জন্য এটি হতে পারে খুবই দারুণ একটি সুযোগ। আর যদি নিজের ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য।
আপনি এই পদ্ধতিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন যদি সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করে যেতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটটিকে আমাজন একাউন্ট এর সাথে কানেক্ট করতে হবে এবং সেখান থেকে প্রোডাক্টের রেফারেল লিংক নিয়ে সে অনুযায়ী আপনাকে কাজ করে যেতে হবে।
আপনার রেফারেল লিংক থেকে যত জন আমাজন থেকে প্রোডাক্ট কিনবে আপনার ইনকাম তত বেশি হবে । তাই আপনাকে সকল সময় টার্গেট করতে হবে নির্দিষ্ট কোন কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করার যাতে আপনি সহজে রেংঙ্ক করাতে পারেন এবং অনেক লোক আপনার পোস্ট দেখে আগ্রহী হয়ে আমাজন থেকে প্রোডাক্ট কিনে।
আমাজন থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার যত পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার পদ্ধতিটি অনেক জনপ্রিয়। তাই আপনি চাইলে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন এবং সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
৩.ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনি চাইলে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন এটি হচ্ছে সবচেয়ে সহজ একটি পদ্ধতি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে।
আপনার যদি ফেসবুক পেজ থেকে থাকে এবং আপনার ফেসবুক পেজের যদি অসংখ্য ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আপনার ফেসবুক পেজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
আপনাকে এক্ষেত্রে আপনার ফেসবুক পেজে থাকা সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে বুঝাতে হবে প্রোডাক্ট এর বিবরণ সম্পর্কে এবং প্রোডাক্ট এর গুণগত মান সম্পর্কে তাদেরকে বলতে হবে।
তারপর যদি তারা আপনার লিংক থেকে প্রোডাক্ট কিনে তাহলে আপনি এখান থেকে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে।
আপনি এই ক্ষেত্রে যত বেশী প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন আপনারা এর পরিমাণ টা কিন্তু ততই বেশি বৃদ্ধি পাবে।
তাই আপনি যদি এফিলিয়েট মারকেটিং করতে চান আমাজনের মাধ্যমে তাহলে এই উপায়টি কে আপনি বেছে নিতে পারেন।এই পদ্ধতিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও অনেকে অ্যামাজন থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে।
৪.পিন্টারেস্ট এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনারা চাইলে আপনার পিন্টারেস্ট একাউন্টের মাধ্যমে করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। বর্তমানে অনেক পিন্টারেস্ট ব্যবহারকারী আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে তাদের পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট থেকে আয় করে চলেছে।
আপনি চাইলে আপনার আমাজন একাউন্ট এর সাথে পিন্টারেস্ট একাউন্টটি কানেক্ট করে সেখান থেকে রেফারেল লিংক সংগ্রহ করে পিন্টারেস্ট একাউন্টের মাধ্যমে আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।
আমাজন থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার এটি হচ্ছে দারুন একটি পদ্ধতি তাই আপনি চাইলে এই পদ্ধতিটিও অবলম্বন করতে পারেন।
৫.টুইটারের মাধ্যমে আমাজন আফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনার টুইটার অ্যাকাউন্টটিতে যদি অনেক বেশি পরিমাণে ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।
আর এফিলিয়েট মার্কেটিং করার কথা যখন আসে তখন অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনার পছন্দ হতে হবে আমাজনকে। কেননা এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অ্যামাজন হচ্ছে সবচেয়ে বিশ্বস্ত একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট।
আপনি চাইলে নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে অ্যামাজন এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সেখান থেকে ভালো ইনকাম করতে পারেন।
মূলত এই হল আমাজন থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার সেরা কয়েকটি মাধ্যম। আপনারা এই পদ্ধতিগুলোর সঠিক ব্যবহার করে আমাজন থেকে খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
আরও দেখতে পারেন:
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন?
- অনলাইনে ইনকাম করুন মাসে ৪০+ হাজার টাকা (২৬টি সেরা উপায় অনলাইন আয় করার)
আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ কিভাবে জয়েন করবেন? (How to join the Amazon Affiliate Program?)
আপনারা এতক্ষণে জানলেন আমাজনের মাধ্যমে আপনারা কোন কোন পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। আমি এবার আপনাদেরকে বলবো আমাজন এর মাধ্যমে কিভাবে আপনারা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন করবেন।
আপনারা চাইলে কিছুসময়ের মধ্যেই আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এ জয়েন করতে পারবেন খুব সহজেই। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে হবে।
আপনাকে প্রথমে এবার আপনাকে নিদৃষ্ট পদ্ধতিতে যেভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সেই সকল তথ্য গুলো দিতে বলবে এবং আপনাকে নির্দিষ্ট ধাপে ধাপে সেগুলো দিতে হবে।
আপনি যদি এবার সঠিকভাবে সাইন আপ করতে পারেন তাহলে আমার জন্য পক্ষ থেকে আপনাকে একটি associate id দেওয়া হবে।
তারপর এবার আপনাকে ড্যাশবোর্ড থেকে নিজের ব্যাংক একাউন্টের নাম্বার দিতে হবে এ ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমেই আপনি আমার জন্য যে কাজগুলো করবেন তার পেমেন্ট পাবেন।
আপনি এবার চাইলে অ্যামাজন থেকে যে কোন প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করে তার রেফারেল লিংক নিয়ে সেটির অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন খুব সহজেই। আপনি চাইলে এক্ষেত্রে যে কোন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই আমাজন এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা,
অনেক এফিলিয়েট মার্কেটার আছে যারা শুধুমাত্র আমাজন এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে হিউজ পরিমান টাকা ইনকাম করে চলেছে। আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা অনেক লাভজনক অন্যান্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর চেয়ে।
তাছাড়া এই ওয়েবসাইটটি খুবই বিশ্বস্ত একটি ওয়েবসাইট এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আর এই মাধ্যমটি কে প্রায় বিশ্বের অধিকাংশ এফিলিয়েট মার্কেটার ব্যবহার করে আসছে।
আপনি যদি সঠিকভাবে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে আপনি এখান থেকে যে কি পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা নিজেই দেখে অবাক হয়ে যাবেন।
তাছাড়া আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার আরো অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে যে কারণে অনেক এফিলিয়েট মার্কেটিং এই পদ্ধতিটি কে বেছে নিয়ে থাকেন।
তাই আপনি যদি মনে করে থাকেন যে অনলাইনে ক্যারিয়ার হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তাকে শুরু করবেন, তাহলে আপনার জন্য সেরা একটি মাধ্যম হতে পারে এই ক্ষেত্রে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি চাইলে এই প্লাটফর্মটিকে ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
Comments (No)