অনলাইন থেকে মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করার Best ১১টি পদ্ধতি আসসালামুয়ালাইকুম এসো আয় করি এর সকল দর্শকবৃন্দ, আপনি কি অনলাইন থেকে টাকা উপার্জনের সেরা পদ্ধতিগুলি খুঁজতে এবং খুঁজতে সত্যিই ক্লান্ত? আজ, আমরা অনলাইনে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার ১১ টি সেরা এবং বাস্তব উপায় সম্পর্কে জানব আপনাদেরকে।
আন্তরিকভাবে বলছি বন্ধুরা অনলাইনের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার সেরা এবং বাস্তব উপায়গুলি বুঝতে আমার অনেক দিন সময় লেগেছে। কেননা আমাকে অনলাইন থেকে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করার জন্য নানারকম সোস খুঁজতে হয়েছে। বন্ধুরা আপনি যদি অনলাইন থেকে দ্রুত সময় প্রায় এক দেড় মাসের মধ্যেই ইনকাম করার জন্য কোন যাদু খুজছেন তাহলে ব্লাগটা আপনার জন্য নয়। কেননা যে কোন জায়গায় আপনাকে লেগে থাকতে হবে। আর সব কাজে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে সে কাজ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে আর এজন্য আপনাকে ইনকাম করতে হলো অনেক দিন সময় দিতে হবে আর আপনি যদি দ্রুত একদিনের মধ্যে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে প্রত্যেকদিন আট থেকে নয় ঘণ্টা অনলাইনের সময় দিতে হবে কেননা “পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি”
অনলাইনে অর্থ উপার্জনের কোন দ্রুত উপায় নেই কেলেঙ্কারি এবং অপরাধ ছাড়া।
ইন্টারনেট থেকে অর্থ উপার্জন এত সহজ নয় যতটা আমরা মনে করি। এর জন্য অনেক সময় এবং ধৈর্য প্রয়োজন। কিন্তু, একবার ইন্টারনেটে জিনিসগুলি স্থির হয়ে গেলে আপনি এই পদ্ধতিগুলি থেকে দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ অর্জন করতে পারেন।
আমি জানাতে চাই যে আমার শেখার পর্যায়ে আমার উপার্জন শূন্য ছিল, কিন্তু এখন আমি একই শিক্ষা থেকে উপার্জন করেছি
আপনার নিজ দায়িত্বে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা কিছুই টিপস
আপনার যদি নতুন কিছু শেখার আবেগ থাকে তবে আপনি অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন (কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগিং, ডিজাইনিং এবং ভিডিও গ্রাফিক ইত্যাদি কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে লেগে যেতে পারেন।
আপনি লাভজনক ব্লগ লিখে অর্থ উপার্জন করতে পারেন কিন্তু আপনার ব্লগ থেকে উপার্জন শুরু করতে ৪-৫ মাস সময় লাগবে।
বিশ্বাস করুন বা না বন্ধুরা আমি অনলাইন থেকে প্রতি মাসে এক লাখ টাকার বেশি উপার্জন করছি। আপনি যদি সঠিক এবং কার্যকরী উপায় অনুসরণ করেন তাহলে আপনি একই বা আরও বেশি উপার্জন করতে পারেন।
এখন, আমি আপনার সাথে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সেরা এবং প্রমাণিত বাস্তব উপায় শেয়ার করতে যাচ্ছি।
অনলাইন থেকে মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করার সেরা ১১টি পদ্ধতি
১” স্টক মার্কেট ট্রেডিং বা অনলাইন শেয়ার বাজার
আমি জানি আপনারা কেউ কেউ নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আমি কেন বলছি এটিই সর্বোত্তম পদ্ধতি। বিশ্বাস করুন বন্ধুরা, স্টক মার্কেট ট্রেডিং আপনাকে সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারে যদি আপনি এটি সঠিক উপায়ে করেন। স্টক মার্কেট ট্রেডিং বা অনলাইন শেয়ার বাজার আপনার নিজস্ব সৃজনশীল মেধা ও বুদ্ধি খাটিয়ে আপনি স্টক মার্কেট ট্রেডিং বা অনলাইন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে আপনি এখান থেকে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকার উপর ইনকাম করতে পারবেন।
এ কাজটি আমি সবাইকে সাজেস্ট করবো না কেননা যারা সংক্ষেপে জাদুঘরে উপায়ে টাকা ইনকাম করতে চান তাদের জন্য স্টক মার্কেট ট্রেডিং বা অনলাইন শেয়ার বাজার ভালো উপায় হতে পারে। আর এটি যারা বাজিতে আগ্রহী এবং যারা যেকোনো জায়গায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তাদের জন্য আমি তাদেরকে স্টক মার্কেট ট্রেডিং সাজেস্ট করব।
অনলাইন ট্রেডিং শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই কিছু প্রভাবশালীদের কাছ থেকে টিপস এবং ট্রিকস শিখতে হবে এবং তারপরে এই বিষয়ে প্রবেশ শুরু করতে হবে।
এটি করার জন্য আপনাকে অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে এবং কম অর্থ দিয়ে স্টক ট্রেডিং শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ট্রেডিং ব্যবসার জন্য, আপনার আপনার ডিম্যাট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
আপনাকে স্টক মার্কেট ট্রেডিং বা অনলাইন শেয়ার বাজার বিনিয়োগ করতে হলে কিছু গাইডলাইন ফলো করতে হবে। এবং কিছু গাইডলেন ও কিছু টিপস্ এন্ড ট্রিকস্ জানতে হবে। এজন্য আপনি বাংলাদেশের কিছু ইউটিউব চ্যানেল ফলো করতে পারেন।
অনলাইনে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা উপার্জনের ১১ টি সেরা এবং বাস্তব উপায়গুলির মধ্যে এটি অন্যতম সেরা পদ্ধতি।
২# ফ্রিল্যান্সিং
আপনি যদি অনলাইনে নিজের একটি ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান শক্তপোক্ত ভাবে এবং পার্ট-টাইম কোন কিছু করতে চান এবং যদি আপনি একজন দক্ষ ব্যক্তি হন তাহলে আপনি চোখ বুজে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
যদি আপনার দক্ষতা থাকে এবং টাকা বিনিয়োগ করতে না চান তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করুন। ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসায় আপনি লেখা, ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ব্লগ লেখা লেখি, ডিজিটাল মার্কেটিং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি শুরু করতে পারেন।
আর আপনি চাইলে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন তার জন্য আপনাকে কিছু স্যাম্পল কাজ বা স্কিল শিখতে হবে এবং আপনার নিজস্ব সৃজনশীল বুদ্ধি খাটিয়ে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস লেগে যেতে পারেন আপনি মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ গুলো করতে পারেন। কেননা ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাটাগরিতে এমন এমন কাজ রয়েছে। যা আপনি মোবাইল দিয়ে করে কাজগুলো বায়ারকে জমা দিতে পারবেন। আর আপনি যদি নিজেকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে তৈরী করতে চান তাহলে আপনাকে অনেকদিন ঘাটাঘাটি করতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মারকেটপ্লেস গুলো সম্পর্কে এবং বিভিন্ন স্কিল সম্পর্কে তারপর আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। না হলে আপনি কখন মোবাইল দিয়ে করতে পারবেনা নতুন কেউ কখনো মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে যাবেন না আপনাদের নতুন এবং অল্প সময় ইনকাম করতে চান তাহলে একটি কম্পিউটার ক্রয় করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন আর আপনি যদি পুরাতন কেউ হন অনেকদিন পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সিং করার চেষ্টা করতেছেন এবং আপনি অনেক কিছু জানেন তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
এটি সবই আগ্রহের ক্ষেত্র এবং আপনি যে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেছে নিয়েছেন তার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি প্রামাণিক এবং মানসম্মত কাজ প্রদান করেন তাহলে আপনি মাসে পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। প্রচুর ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন এবং আপনার স্কিল অনুযায়ী কাজ শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স কাজের সবচেয়ে ভালো দিক হল যে আপনি এটি বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে করতে পারেন এবং আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল আপনি নিজেই নিজের বস হবেন।
৩#অনলাইনে পণ্য বিক্রি
অনলাইনে আপনার নিজের তৈরি ও নিজের পণ্য বিক্রয় হলো অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সেরা ও সহজ পদ্ধতি কেননা আপনার প্রোডাক্টের আপনি বিক্রি করবেন এবং আপনি সবকিছু আপনি নিজ দায়িত্বে করতে পারবেন।
অনলাইন পণ্য বিক্রি কি?
অনলাইনে পণ্য বিক্রি বা সেলিং হচ্ছে আপনি আপনার পন্য অনলাইনে বিভিন্ন অনলাইন শপে নিজস্ব দোকান খুলে বিক্রি করবেন। এককথায় অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি।
সুতরাং, আপনি এখন অনলাইন সেলিং বা বিক্রি কি এর অর্থ সহজে বুঝছেন। এখন আপনি অনলাইনে বিক্রি কিভাবে করবেন তার প্রক্রিয়াটি বুঝুন। অনলাইনে ব্যবসা বা বিক্রি করা খুব সহজ ও কঠিন।এই ব্যবসা শুরু করার দুটি উপায় আছে।।
১:আপনি যদি বাংলাদেশে আপনার পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে চান তাহলে বাংলাদেশে কিছু অনলাইন
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।যেমন দারাজ,বিডি শপ,বিক্রয় ডট কম ইত্যাদিতে একটি অনলাইন দোকান তৈরি করতে পারেন।
২: আপনি যদি অনলাইনে আপনার নিজস্ব পণ্য বিক্রি করতে চান। যদি আপনি তৃতীয়পক্ষ কোন প্ল্যাটফর্ম কে কমিশন দিতে না চান ও নিজে একটি অনলাইন বিজনেস দাঁড় করাতে চান বাংলাদেশ তাহলে আপনি আপনার নিজস্ব একটি ই কমার্স প্লাটফর্ম তৈরি করুন। কিন্তু আপনি আপনার নিজস্ব প্লাটফর্ম বা ই কমার্স সাইট দিয়ে শুরু করতে আপনার প্রথম দিকে অনেক টাকা খরচ হবে। আর এটি হচ্ছে অনলাইনে বিক্রির সবচেয়ে সহজ ও সফল পদ্ধতি।
অনলাইন সেলিং কিভাবে করবেন?
এই প্রশ্নের উত্তর খুবই সহজ। আপনাকে শুধু উপরের যেকোনো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে একটি দোকান শুরু করতে হবে।
একবার দোকান সেটআপ হয়ে গেলে আপনাকে আপনার পণ্যের ক্যাটাগরি পছন্দ করতে হবে এবং বাজার থেকে পণ্যগুলি কিনতে হবে অথবা যদি আপনার নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন আপনার অনলাইন দোকানে।
৪# ড্রপশিপিং
আপনাদের মধ্যে অনেকে ড্রপশিপিং নামটি প্রথম শুনেছেন অনেকে হয়তো অবাক হয়ে গেছেন ড্রপ শিপিং কি এটা করে কি ইনকাম করা যায়। আপনাদেরকে সংক্ষেপে বুঝানোর জন্য আমি ড্রপশিপিং সম্পর্কে এখানে ভালোভাবে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।
সুতরাং, ড্রপশিপিং কি?
ড্রপশিপিং এটি এমন একটি পদ্ধতি আপনি অনলাইনে বিজনেস বা আপনার দোকান আছে কিন্তু নিজস্ব বা কোন পণ্য নেই।
মনে করেন আপনি কোন একটি অনলাইন শপে খুব অল্প দামে কোন পণ্য দেখলেন আপনি মনে করলেন আপনি পণ্যটি আরো অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। তখন আপনি পণ্যটিকে শপে সরাসরি ক্রয় না করে। আপনি পণ্য সকল ডিটেলস নিয়ে আপনার অনলাইন শপ বা আপনার ই-কমার্স প্লাটফর্মে সাজিয়ে রাখবেন। এরপর আপনাকে কেবল অর্ডার নিতে হবে এবং এরপর যেখান থেকে পণ্যটি কম দামে ক্রয় করতে পারবেন। আপনি আপনার প্লাটফর্মে যার থেকে পণ্যটি বিক্রি করবেন তার ঠিকানা ওর ডিটেলস কম দামে ক্রয় কৃত পণ্যের মালিক কে এটি প্রেরণ করতে হবে যেখানে থেকে আপনি পণ্যটি কিনছেন। আর পণ্যর মালিক আপনার থেকে যে পণ্যটি ক্রয় করেছে তার ঠিকানা অর্ডার পৌঁছে দেবে। আর এখান থেকে আপনি ৬০ টাকার পণ্য যদি ১০০ টাকা বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি ৪০ টাকা ইনকাম করবেন।
মজাদার.!! ভালো লাগছে। যখন আমি এই সম্পর্কে শুনেছি তখন আমারও মনে হয়।
সুতরাং, আপনি যদি আপনার ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে চান তবে আপনার একটি অনলাইন স্টোর থাকা দরকার।
এই ব্যবসার জন্য খুব অল্প পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন। একটি ডোমেইন এবং Shopify স্টোর বা ই- কমার্স প্ল্যাটফর্ম তেরি করতে বিনিয়োগ করতে হবে
৫ ব্লগার বা ব্লগ লেখা লেখি
আপনি যদি বিশ্ব সম্পর্কেও ও জানা সম্পর্কে আগ্রহী এবং সেগুলো মানুষকে বোঝানোর বোঝাতে ও আগ্রহী এবং লেখালেখি করে মানুষকে সচেতন করতে আগ্রহী তাহলে আপনি ব্লগিং বা লেখা লেখি করতে পারেন এটি হতে পারে আপনার ইনকামের জন্য ভালো একটি বিকল্প। আর ব্লগিং করার জন্য আপনার শুধু স্বল্প পরিমাণ টাকা খরচ হতে পারে একটি ডোমেইন ক্রয় করার জন্য ।
আর ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন আপনার বিষয়বস্তু লেখালেখি ভালো আকর্ষক ও দর্শকদের মন জয় করতে পারলে।
আপনি যেখান থেকে আমার এ পোস্টটি পড়তেছেন এটাও একটি ব্লগ। আর আমার এই ব্লগার ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে সর্বমোট ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে।
আপনার ব্লগ সাইট কিভাবে শুরু করবেন তার সহজ ধাপ?
ব্লগ পোস্ট শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার সাইটে আপনার ব্লগ তৈরি করতে হবে।
একবার আপনি এখন ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন, এটি আপনার কোন বিষয় বা কোন ক্যাটাগরিতে আপনি ব্লগ লেখালেখি করবেন তা নির্বাচন করুন।
এরপর আপনার ব্লগের ক্যাটাগরি অনুযায়ী SEO সম্পন্ন ডোমেইন নাম নির্বাচন করুন।
আর আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেসে একটা ওয়েবসাইট বা ব্লগ পোষ্ট তেরি করতে চান তাহলে আপনার খরচ বেশি পড়বে কেননা আপনাকে হোস্টিং ক্রয় করা লাগবে যার অনেক মূল্য কিন্তু আপনি যদি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করেন তখন আপনাকে হোস্টিং ক্রয় করা লাগবে না শুধুমাত্র ডোমেইন ক্রয় করলেই আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের লাইভ করতে পারবেন।
আর আপনি আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটের সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি সম্পন্ন করুন তারপর ব্লগগুলি লিখতে শুরু করুন।
আর গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটে আপনার উচিত ৩০ টির বেশি ব্লগ লেখা এবং তাদের প্রচার করা।
অনলাইনে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করার ১১ টি সেরা এবং বাস্তব উপায়গুলির মধ্যে এই পদ্ধতিটি অন্যতম সেরা পদ্ধতি।
৬ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
বর্তমান যুগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা ও একটি সহজ পদ্ধতি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আপনি কোন এক কোম্পানির পণ্য মার্কেটিং করবেন এবং সে পণ্যটি আপনার মার্কেটিং এর উপরের লিঙ্কে ক্লিক করে যত জন ব্যক্তি ক্রয় করবে তার থেকে আপনি কিছু পরিমাণ কমিশন পাবেন এক কথায় বলা যায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কমিশন ভিত্তিক ইনকামের এর মাধ্যম।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন এক ধরনের মার্কেটিং যেখানে আপনি অন্য কারো পণ্য বিক্রি করবেন এবং প্রতিটি বিক্রয় থেকে কমিশন পাবেন। সহজ কথায়, এফিলিয়েট মার্কেটিং হল কমিশন ভিত্তিক মার্কেটিং।
এই ব্যবসায়, আপনার যা কিছু করতে হবে তা আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে না আপনার বিক্রয়ের জন্য আপনার শুধু পণ্যগুলি বেছে নিতে হবে।
কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন ??
আপনি আপনার নির্বাচিত পণ্যগুলি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট তৈরি করে পণ্যটি বিক্রি করতে পারেন।
আপনি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদির মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্যটি বিক্রি করতে পারেন।
আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে পণ্যটি বিক্রয় করতে পারেন। পণ্য সম্পর্কে রিভিউ এবং ব্লগ লিখে এবং বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি দুই ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স ও অ্যাফিলিয়েট কমিশনের মাধ্যমে।
আমার সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম হল আমাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। আপনি যদি বাংলাদেশকে টার্গেট করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনি DARAZ কছ বেছে নিতে পারেন। অসংখ্য মানুষ আছেন যারা এই প্রোগ্রামটি ব্যবহার করছেন এবং খুব ভালো উপার্জন করছেন।
অ্যামাজন ও DARAZ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানি তাদের পণ্য বিক্রির জন্য অ্যাফিলিয়েট সুবিধা দিচ্ছে। আপনিও তাদের সাথে যোগ দিতে পারেন
৭ ইউটিউব চ্যানেল
আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলে রিয়াল ও সবচেয়ে অর্গানিক উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিটি খুবই মজাদার এবং বিনোদনমূলক এবং সেইসাথে জনসাধারণের কাছে নিজেকে খুব অল্প সময়ে পৌঁছানোর সেরা পদ্ধতি। আপনি বিশ্বাস করবেন না কিন্তু এটি সত্য যে লোকেরা ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ উপার্জন করছে। আমি জানি এটা পূর্ব জ্ঞান ছাড়া ভিডিও বানানোর সহজ উপায় নয়। কিন্তু, একবার আপনি পুরো প্রক্রিয়াটি শিখতে পারলে বিশ্বাস করুন আপনি আপনার চ্যানেল থেকে সুদর্শন আয় করতে সক্ষম হবেন।
দুটি ধরণের জিনিস রয়েছে যা আপনার চ্যানেলে ট্র্যাফিক আনতে পারে।
প্রথমত, যারা মজার বা বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করতে পারে। দ্বিতীয়ত, যারা শ্রোতাদের সহায়ক এবং ফলপ্রসূ তথ্য দিতে পারে। (মা, গৃহিণী, ছাত্র, কারিগরি কাজ ..) ইত্যাদি হল সবচেয়ে সাধারণ দর্শকরা তাদের বেশিরভাগ সময় ইউটিউবে কাটায়।
আপনাকে উচ্চ মানের ভিডিও তৈরি করতে হবে এবং আপনার চ্যানেলে আপলোড করতে হবে।
৮. অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি
আপনি যদি কোনো অনলাইন ভিত্তিক কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তো তাহলে আপনি আপনার কাজের দক্ষতা মানুষকে শেখানোর মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট ও Udemy মত ওয়েবসাইটে আপনি কোর্স পাবলিশ করে বিক্রি করতে পারেন আর এখান থেকে আপনি ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর অনলাইনে কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি আপনার নিজস্ব সম্মান ও নিজস্ব যোগ্যতা মানুষের মধ্যে তুলে ধরতে পারবেন।
#৯ ডিজাইন বিক্রি
আপনি যদি ডিজাইন বা গ্রাফিক ডিজাইনে ভালো হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিভিন্ন রকম ক্রিটিভ ও আকর্ষণীয় ট্রেন্ডিং ডিজাইন করে ডিজাইনগুলো অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে সবচেয়ে অর্গানিক পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
যে কোনো রকমের ডিজাইন করা একটি আশ্চর্যজনক কাজ বা দক্ষতা বলা যায় কেননা আপনি যেকোনো ডিজাইন যেকোনোভাবে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি চাহিদার ভিত্তিতে মুদ্রণ করতে পারেন এবং আপনার নিজস্ব কাস্টম পণ্যগুলিতে আপনার ডিজাইন বিক্রি করতে পারেন। বিকল্পভাবে, আপনি 99 ডিজাইনের মতো ক্রাউডসোর্স প্ল্যাটফর্মে আপনার ডিজাইন পিচ করতে পারেন। আপনি নিজের গ্রাফিক্স, টেমপ্লেট এবং আরও অনেক কিছু তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলিকে গ্রাফিকরিভার বা ক্রিয়েটিভ মার্কেটের মতো মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। অথবা আপনি কিছু ক্লায়েন্ট নিতে পারেন এবং একজন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন।
১০ ফটোগ্রাফি বা ফটো বিক্রি
আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার বা যেকোন ভাবে ফটো তুলতে পছন্দ করেন তাহলে আপনি চাইলে আপনার তোলা ফটোগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন এবং ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি আপনার ফটোগুলো তোলার পর ভালোভাবে এডিটিং মাধ্যমে প্রকাশ করে। অনলাইনে বিভিন্ন ফটো ক্রয় বিক্রয় ওয়েবসাইটে আপনি আপনার ফটো গুলো বিক্রি করতে পারেন। আপনার ফটো গুলো বিক্রি করার জন্য আপনাকে আপনার ফটো তোলার ক্ষেত্রে খুবই দক্ষ ও ক্রিটিভ হতে হবে।
আর আপনি আপনার তোলা ফটো গুলো খুব সহজে দৃশ্যপট বিক্রি করতে পারবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:{ pixavay, shutterstock,pixels, istock, and unsplash}etc
১১.মার্চ বাই অ্যামাজন বা টি-স্প্রিং
মার্চ বাই অ্যামাজন বা টি-স্প্রিং এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও টি-শার্ট ডিজাইন করে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন এখানে আপনার ডিজাইনকৃত টি-শার্ট ও প্রোডাক্ট আপনি এইখানে একাউন্ট খোলার পর বিক্রি করতে পারেন। আর এখানে আপনি আপনার ডিজাইন গুলো খুব অল্প সময়ে বিক্রি করতে পারবেন ও ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ গার্মেন্টস কোম্পানি ও অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে মার্চ বাই অ্যামাজন বা টি-স্প্রিং সেলারদের থেকে তাদের কোম্পানির টি শার্ট ও প্রোডাক্ট ডিজাইনগুলো ক্রয় করে কোম্পানি কার্যক্রম চালাই।
Wait
আপনি এখন প্রতিমাসে অনলাইন থেকে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করা ১১ টি পদ্ধতি পাওয়ার পর আপনি খুবই আগ্রহী হয়ে এসব বিষয়ে কাজ করার শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু মূল কথা হচ্ছে আপনি কাজ গুলো সম্পর্কে ভালো করে বোঝেন না এবং জানেন না তো আপনি যদি সে বিষয়ে ভালো করে জেনে ও কাজ করেন এবং আপনি 11 টি বিষয় না যেকোনো দুটি বিষয় এর উপর কাজ করুন এবং ভালোভাবে জানার চেষ্টা করুন ও কাজ টির উপর দক্ষ হয়ে ওঠুন এরপর আপনি মাঠ পর্যায়ে কাজ করুন। আর আপনি যেসব বিষয় কাজ করবেন সেসব বিষয় অনলাইন কোর্স ও ইউটিউবে ফ্রি ভিডিও দেখে কাজ করতে পারেন।আর আমাদের লেখা ব্লগে আপনার থেকে ভালো লাগলে অন্য কাউকে জানার সুযোগ করে দিবেন ও শেয়ার করে দিন।
Comments (No)