অনলাইনে ১০টি আয় করার সহজ উপায়।

অনলাইন এই শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। আর এই অনলাইনের সাথে যুক্ত হয়ে ইনকাম করাই হলো অনলাইন ইনকাম। অনলাইন ইনকাম এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। কিন্তু এ সম্পর্কে সবার ধারণার মাঝে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। অনেকে মনে করি অনলাইনে ইনকাম বলতে আসলে কিছুই নেই। আবার অনেকেই ভাবেন অনলাইনে ইনকাম করা কস্টকর কিন্তু পারিশ্রমিক কম।

অনেকে তো বলেই ফেলে অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে সম্ভব না। আবার অনেকে হয়তো টাকা ইনভেস্ট করেও কিছুই শিখতে পারেন না। আপনাদের এ রকম সকল ধারণাই ভুল।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

১০ টি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলো হলো :

১.মার্কেটিং করে: বর্তমান এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা অনেকটাই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। তাই নিজেদের কেনা কাটাও অনলাইন থেকে করছি। সেক্ষেত্রে আপনি যদি হন সেলার তাহলে তো ইনকাম হবেই। অনেকেই শুধুমাত্র পেজ খুলে পন্য বিক্রি করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে। বর্তমানে তো ইনভেস্ট না করে রিসেলিং করেও ভালো এমাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ধ্যর্য থাকতে হবে এবং মার্কেটিং পলিসি বুঝতে হবে। এটি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় ২০২১.

অনলাইনে ১০টি আয় করার সহজ উপায়। 1

২.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: এই শব্দটা আমাদের কাছে ততটা পরিচিত নয়। তবে পরিচিত না হলেও এই মার্কেটিং এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমান অর্থ উপার্জন সম্ভব। এবার আসুন আমরা সংক্ষেপ এ এর সম্পর্কে জানি.

আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে কেও যদি পন্যটি ক্রয় করে আপনি তাহলে আপনার কমিশনটি পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে পন্যটির দাম বাড়বে না। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) এর জন্য অবশ্যই ভালো মার্কেটিং জানতে হবে। এ ছাড়া সম্ভব নয়। বর্তমানে অনলাইন বা অফলাইনে বিভিন্ন ইন্সটিটিউট এ ধরনের কোর্স করিয়ে থাকেন। সেখান থেকে শিখে নিয়েও আপনি কাজ শুরু করতে পারেন।

৩.রেফার করে ইনকামঃ অনেক সহজ ভাবে ইনকাম এর একটি মাধ্যম হচ্ছে অ্যাপ রেফার করে ইনকাম।

এই যে বিকাশ এর অফার চালু আছে আপনি রেফার করলে আপনার রেফারে কেও app ইন্সটল করলে ও লগ ইন করলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনার একাউন্টে এসে জমা হয় এবং সেটা আপনি চাইলে উইথড্র দিতে পারেন। এই বিকাশ এর মত অনেক app আছে। বাংলাদেশি হলে আপনি টাকা বিকাশেই নিতে পারবেন তবে বিদেশি হলে বিকাশে নেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত কিছু আশা করা যাবে না। যেসব সাইট অনেক বেশি টাকার অফার করে রেফার কমিশন হিসেবে,সেসব সাইট বেশির ভাগ সময় ভুয়া হয়। এটি অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়.

৪.ছবি তুলে ইনকামঃ বর্তমান যুগে স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। আপনার হাতেই রয়েছে একটি স্মার্টফোন,আর স্মার্টফোনে অবশ্যই রয়েছে ক্যামেরা। কোনো কোনো মোবাইলে তো একাধিক ক্যামেরাও দেখা যায়।আপনার হাতে থাকা সেই ফোনটি ব্যাবহার করেই আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি,,, আপনি আপনার হাতের মোবাইলটি দিয়ে আপনার আশে পাশের কোনো সুন্দর জিনিস এর ছবি তুলতে পারেন।

(মোবাইল এর ক্যামেরা বা যে কোনো ক্যামেরা দিয়েই সম্ভব) তারপর সেই ছবিটাকে সুন্দর করে এডিট করে অথবা এডিট ছাড়াই ওয়েবসাইটে “র” (raw) ফাইলসহ আপলোড করে আপনি ৫০-৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি অল্প স্বল্প এডিটিং জানেন তাহলে তো আরও সহজ হয়ে যাবে কাজটি আপনার জন্য।অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য বিভিন্ন ওয়েব সাইট রয়েছে । তার মধ্যে জনপ্রিয় হলো Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি এবং এরাই ফটোগ্রাফার দের সব থেকে বেশি পে করে থাকে।

৫.ব্লগিং করে ইনকামঃ ব্লগিং অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন হলেও অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা প্রতি মাসেই পেতে পারেন। এজন্য প্রথমত দরকার মেধা শ্রম ও ধ্যর্য। ব্লগ একটি নিউজপেপার এর মত। আপনার জানা বিষয়টি আপনি লিখবেন। সেই বিষয়টি যার জানা দরকার সে পড়বে। এই যে আপনি এখন অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। প্রতিটা মানুষই কোনো না কোনো বিষয় এ জানাশোনা হয়।আপনিও যে বিষয় এ জানেন সেই বিষয় এর উপর লিখেই শুরু করতে পারেন আপনার ইনকাম।

এখন আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন আসছে লিখবো তো কোথায় লিখবো!

হ্যা আমি উত্তর দিচ্ছি,,, আপনি কোনো খরচ ছাড়াই একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে মানুষের ভরসা কম পাবেন। তাই কিছু টাকা খরচ করে ডোমেইন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আপনার ব্লগ বানিয়ে আপনি লিখতে পারেন। তবে অনেকের এতটুক ধারণা থাকার পরেও শুরু করছেন না গুগল এডসেন্স দিবে কিনা সেই ভয়ে। তবে ভয়ের কারণ নেই মানসম্মত লিখা হলে অবশ্যই এডসেন্স দিবে।

৬.ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম: বর্তমানে সবচাইতে বেশি লোক যেখানে কাজ করছে সেটি হচ্ছে ফ্রি ল্যান্সিং। এতে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করাও সম্ভব। সরকার তো ফ্রি ল্যান্সিং এ সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। হয়তো আগামী দিনে এটি হয়ে উঠবে একটি জনপ্রিয় পেশা। ফ্রি ল্যান্সিং এর জন্য আপনার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে হবে। যেমনঃ ফাইবার, ফ্রি ল্যান্সার ইত্যাদি।

এতে বিদেশি বায়াররা অনলাইনে কাজের জন্য আপনাকে ভারা করবে। তাদের কাজ করে দিতে পারলেই তারা আপনাকে ভালো একটা এমাউন্ট দিবে। এবং সেটা ব্যাংক একাউন্ট এ নিতে হবে।তবে ফ্রি ল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি বিষয় এ পারদর্শী হতে হবে যেমনঃ Graphics Design, Photo Editing, Web Design, Website Making, Copywriting, Content Writing,Logo Design), ইত্যাদি। আপনি যে বিষয় ভালো পারেন সেই বিষয় এই শুরু করতে পারেন ফ্রি ল্যান্সিং।

তবে, শুরুতে মার্কেট প্লেসে কাজ পেতে সমস্যা হলেও পরবর্তীতে আর সমস্যা হয়না, এ জন্য লেগে থাকতে হয় দির্ঘ সময়।

৭.ভিডিও দেখে অনলাইনে আয়ঃ ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করার বিষয়টি হয়ত অনেকেই জানেন না জানলেও অনেকে বিশ্বাস করেনা। সত্যি কথা বলতে অনলাইন থেকে ভিডিও দেখে ইনকাম করার বিষয়টি অনেকের কাছে বিশ্বাস যোগ্য না হলেও ঘটনাটি কিন্তু সত্যি। তবে মনে রাখবেন, অনলাইনে অনেক সাইট রয়েছে যারা ভিডিও দেখিয়ে ইনকাম এর কথা বলে কিন্তু এরা স্ক্যাম বা ভূয়া সাইট। যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখাবে কিন্তু পরবর্তীতে কোনো পেমেন্ট করবে না।

সাধারনত এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন ধরনের চটকদারী বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনাকে ভিডিও দেখিয়ে আয় করার ফাঁদে ফেলবে।এ থেকে বাচতে সবসময়ই একটা বিষয় মনে রাখবেন, কখনই কোনো ওয়েবসাইট আপনাকে ভিডিও দেখে খুব বেশি পেমেন্ট করবে না।তাই যখনই দেখবেন কোনো ওয়েবসাইট মাত্রাতিরিক্ত পেমেন্ট করার কথা বলছে কিংবা কোনো চটকদারী বিজ্ঞাপনের কথা বলবে বা খুব বেশি পেমেন্ট করার কথা বলবে বুঝে নিবেন সাইটটি ভুয়া।

৮.সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়ঃ বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট প্রচুর ব্যাবহার হচ্ছে। তবে এ গুলো শুধু চ্যাটিং এর জন্য নয় বা সময় অপচয় এর জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকতে হবে। এতে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানির কাছ থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির পন্যের প্রচারের জন্য স্যোশাল প্লাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য থাকাটা জরুরি।

৯.ইউটিউব থেকে আয়ঃ আপনার মাঝে যদি কোন সুপ্ত প্রতিভা থাকে, এবং আপনি যদি ভিডিওর মাধ্যমে আপনার প্রতিভা ভিডিও এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। তাহলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করাটা হবে আপনার জন্য সহজ একটি মাধ্যম। তবে ইদানিং ইউটিউবের কিছু নিয়ম কানুন পরিবর্তন করেছে। আর সেগুলি হচ্ছে, আপনার সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইব হতে হবে এবং প্রায় চার হাজার ভিউ হতে হবে আরও অনেক কিছু। তবে এটি পূরণ করা খুব বেশি কঠিন, যদি আপনার ভিডিও গুলোতে দর্শকদের কাছে ভালো মনে হয় প্রয়োজনীয় কোন বিষয় থাকে তাহলে সাবস্ক্রাইব এবং ভিউ পেতে আপনাকে খুব বেশি সময় লাগবে না।

কেউ কেউ এটা মনে করেন যে, শুধু মাত্র ফালতু,ফানি ভিডিও গুলোতে দর্শকদের ভিউ বেশি হয়। এই কথাটি কিছু সময়ের জন্য সত্য কিন্তু এসব ভিডিও নিয়ে একজন ইউটিউবার খুব বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। তাই আমার অনুরোধে থাকবে ভিউ অথবা সাবস্ক্রাইব পেতে একটু সময় লাগলেও আপনি ভাল এবং শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরী করুন। আর ভুলেও কারও ভিডিও নিজের বলে চালিয়ে দিবেন না এতে চ্যানেল বাতিল হয়ে যাবে।

১০.অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে ইনকামঃ আমাদের মাঝে অনেকেই আছি যারা পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষকতার সাথে জরিত। এতে করে মাসে একটা ইনকাম আমাদের হাতে আসে। কিন্তু যুগের বিকাশে এই পড়াশুনা শুধুমাত্র অফলাইনে সিমাবদ্ধ নয় এই বিস্তার দুনিয়া জুরে।অনলাইনে ছাত্র বা ছাত্রি পড়িয়ে মাসে ৩০-৫০হাজার টাকাও আয় করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক অনলাইন স্কুল রয়েছে আপনি তাদের সাইট ভিজিট করে ধারণা নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার পাঠদান।

শেষ কথা: আমাদের লিখার মাধ্যমে আমরা আপনাদের অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় এর বিভিন্ন টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে জানালাম। এবার আপনি বসে না থেকে আজই তৈরি করুন আপনার ইনকাম এর রাস্তা।মনে রাখবেন বসে থাকলেই লস। যে দিন চলে যাচ্ছে আর ফিরে আসবে না। আর সবসময় এই মনোবল রাখুন আমি পারবো আমাকে পারতেই হবে। তাহলেই পেয়ে যাবেন সফলতা।

আটিকেলটি : wikipediabangla.com থেকে নেওয়া হয়েছে

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ