অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় । সহজে অনলাইন লোন আবেদন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়, অনলাইনে লোন পাওয়ার সহজ উপায় বা সহজে অনলাইন লোন আবেদন কিভাবে করতে পারবেন, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।ঋণ হল এক ধরণের অনিরাপদ ক্রেডিট, যা এমার্জেন্সির সময়ে আমাদের আর্থিক সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারে।
আমরা ব্যক্তিগত কিংবা ভ্রমণ, বাড়ি-নির্মাণ, বিবাহ, কিংবা অন্য নানান কারণেই লোন নিয়ে থাকি। আর, আমাদের ধার করা অর্থের পরিমাণের মধ্যে কোনো সীমাবদ্ধতা থাকে না। প্রকৃতপক্ষে, আমরা আমাদের যেকোনো প্রয়োজনের জন্যেই আমাদের সাধ্যমতো লোন নিয়ে থাকতে পারি।
তবে এক্ষেত্রে, আপনি যদি সহজে ও দ্রুত অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় খুজঁছেন, তবে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সম্পূর্ণ অনলাইন লোন আবেদনের ব্যাপারগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবে।
ক্যাশ ক্রেডিট বা সি সি লোন কি ?
চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক, লোন পাওয়ার সহজ উপায়গুলো সম্পর্কে।
অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় গুলো কি কি ?
প্রথাগত ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের আবেদনগুলোর প্রক্রিয়াকরণে অনেকটাই বেশি সময় নিয়ে থাকে। আর, অর্থঋণদাতারা উচ্চ সুদের বদলে ঋণ দেয় বলে, তা অনেক মানুষের কাছেই খুব একটা বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় না।
কিন্তু, আমরা যখন দ্রুত অনলাইনে লোন নিতে চাই, তখন ভারতের অনলাইন লোন অ্যাপগুলো আমাদের অনেক সময়েই ১ ঘণ্টার মধ্যেই নিরাপদ ও ঝামেলাহীনভাবে নগদ ঋণ প্রদান করতে পারে।
ফিক্সড ডিপোজিট কি ?
অনলাইন লোন আবেদন পদ্ধতি
অনলাইন লোন আবেদন করতে গেলে, আমাদের বেশ কিছু পদ্ধতি মেনে চলতে হবে;
ধাপ-১. ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করুন:
আপনি কত পরিমাণ অর্থ ঋণ নিতে চাইছেন, সেটা আগে ঠিক করে নিন।
ধাপ-২. পূর্বের ঋণ নেওয়া থাকলে, আপনার EMI দেওয়ার পরিকল্পনাটা দেখে নিন:
আপনি বর্তমানে পরিশোধ করছেন এমন কোনো বিদ্যমান ঋণ বা ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া থাকলে, সেটা বিবেচনা করে নিন।
কারণ, এর থেকে আপনি বুঝে যাবেন যে, আপনি কতটা ইএমআই দিতে সক্ষম হবেন।
আপনি প্রতি মাসে কত টাকা পরিশোধ করতে পারবেন, তা দেখার জন্য পার্সোনাল লোন এলিজিবিলিটি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে নিন।
ধাপ-৩. নিজের পরিচিতির প্রমাণীকরণ করুন:
আপনার পরিচিতির প্রমাণীকরণের জন্যে কেওয়াইসি ফর্মের কপি জমা করুন।
আর, মোবাইল নম্বরে আসা ওটিপির সাহায্যে নিজের পরিচিতির প্রমাণ জমা দিন।
ধাপ-৪. লোনের অফারগুলো দেখুন:
আপনার পরিকল্পনার সাথে খাপ খাবে ও আপনার কাঙ্খিত অর্থের পরিমাণ পাবেন, এমন লোনের অফারগুলো দেখতে থাকুন।
এমনকি, লোন পূরণের মেয়াদগুলোও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।
ধাপ-৫. রিপেমেন্ট সেটআপ করুন:
এই ধাপে আপনি আপনার মাসিক কিস্তি বা ইনস্টলমেন্টের পরিকল্পনা বেছে নিন।
ধাপ-৬. ইলেক্ট্রনিকভাবে স্বাক্ষর করুন:
যখন আমরা অনলাইনে লোন নিতে চাই, তখন আমাদের এগ্রীমেন্টে ডিজিটালভাবে স্বাক্ষর করতে হয়।
এক্ষেত্রে, আপনি স্ক্রিনের উপর আঙ্গুল বুলিয়ে নিজের নাম সই করতে পারবেন।
ধাপ-৭. সহজে ঋণ বিতরণের অর্থ লাভ করুন:
এর পর সহজেই আপনি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে আপনার লোনের অর্থ পেয়ে যান।
অনলাইন লোন আবেদন-এর ক্ষেত্রে কি কি নথি প্রয়োজন?
যেকোনো ধরণের ঋণের ক্ষেত্রে, অনলাইন ঋণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজেই অনুমোদন পাওয়া সম্ভব।
হোম লোন কিভাবে পাওয়া যাবে ?
তবে, অনলাইনে ঋণ পাওয়ার জন্যে নিম্নলিখিত নথিগুলো একান্তই প্রয়োজনীয় –
১. ব্যক্তিগত পরিচয়ের প্রমাণপত্র:
কেওয়াইসি নথি, আধার কার্ড, আধারের সাথে সংযুক্ত মোবাইল নম্বর, প্যান কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ।
২. বাড়ির ঠিকানার প্রমাণপত্র:
ড্রাইভিং লাইসেন্স/পাসপোর্ট/ভোটার আইডি/ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুতের বিল, টেলিফোন বিল বা জলের বিল)।
৩. অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং তথ্য।
৪. আয়ের প্রমাণ:
বেতনভোগী ব্যক্তিদের জন্য পে-স্লিপ ও সেলফ-এম্পলয়েডদের জন্য ছবি সমেত আর্থিক বিবরণ।
৫. কর্মচারীর বিবরণ বা ব্যবসার বিবরণ:
কোম্পানির নাম, অবস্থান, কাজের অভিজ্ঞতা ও কাজের স্থিতিশীলতা।
এই নথিগুলো জমা দেওয়ার সময়, বেতনভোগী ও স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তিদের বয়স সীমা ২১ থেকে ৫৮ বছরের মধ্যে থাকাটা বাঞ্চনীয়।
আর, তাদের নূন্যতম মাসিক আয় হওয়া উচিত ১৫,০০০ টাকা।
সমস্ত নথি অনুমোদনের পর লোনের অর্থ আপনার স্বীকৃত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাথে-সাথেই চলে যাবে।
এখানে, আয়ের প্রমাণ জমা করাটা বাধ্যতামূলক, কারণ এটি ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তির ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা দেয়।
এখনকার সময়ে লোন পাওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে নানান অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে লোনের জন্যে আবেদন করা।
আর, আমরা যদিও অনলাইনে লোন নিতে চাই, তবে নিচে আলোচিত অ্যাপগুলো থেকে আমাদের ঋণের পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে সহজেই ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করতেই পারি।
সেরা ১৩টি অনলাইন লোন পাওয়ার অ্যাপ্লিকেশন
নিচে আমরা আপনাদের সেরা ১৩টি অনলাইন লোন অ্যাপস (Best Online loan apps list) গুলোর বিষয়ে বলতে চলেছি, যেগুলোর মাধ্যমে অনেক সহজেই ঘরে বসে বসে নিজের মোবাইল থেকে লোন নিতে পারবেন।
১. Bajaj Finserv:
ইন্টারেস্ট রেট- ১২.৯৯%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৩.৯
এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি লোন আবেদনের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই টাকা পেয়ে যাবেন।
জামানত-মুক্ত ঋণগুলো মহিলা, সরকারি ও পাবলিক সেক্টর ইউনিটের কর্মচারী, কলেজ প্রফেসর, শিক্ষক ও অন্যান্য পেশার মানুষদের জন্যে জন্যে উপলব্ধ।
কেবলমাত্র, এই অ্যাপ্লিকেশনটি আপনাকে ইন্টারেস্ট-ইএমআই-এর সাহায্যের ৪৫% পর্যন্ত কিস্তির পরিমাণ কমিয়ে বিশেষ বৈশিষ্ট্যসহ ব্যক্তিগত ঋণ দিতে সক্ষম।
একবার অনুমোদিত হওয়ার পরে, পরবর্তী ঋণের আবেদনের ক্ষেত্রে আপনি ঝামেলাবিহীনভাবেই যতটা খুশি লোন পেতে পারবেন।
২. IndiaLends:
ইন্টারেস্ট রেট- ০.৯-৩%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ১৫,০০০-৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৪.৫
এই অ্যাপটি হল ভারতের অন্যান্য ক্যাশ লোন অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এখানে আপনি ইনস্ট্যান্ট পার্সোনাল লোন, ফ্রি ক্রেডিট রিপোর্ট ও ক্রেডিট কার্ড পেয়ে যেতে পারেন।
এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি অনলাইনে সহজেই সেরা সুদের হারে ব্যক্তিগত লোন নিতে সক্ষম।
আপনি ইন্ডিয়া লেন্ডের সাহায্যে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই লোনের টাকা পেয়ে যাবেন।
ঋণের আবেদন ক্রিয়ার দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ ও ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত ও দ্রুত করতে, এই অ্যাপ তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করে থাকে।
৩. Dhani:
ইন্টারেস্ট রেট- ১-৩.১৭%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ১০০০-১৫ লাখ পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৩.৯
পূর্বে ‘ফোন সে লোন’ অ্যাপ নাম পরিচিত, এই ধানি অ্যাপ ঋণ আবেদনের সাথে-সাথেই ঋণের অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে থাকে।
আপনি যখন খুশি, যেখানে খুশি এই অ্যাপের সাহায্যে পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন।
এখান থেকে আপনি সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন, ১২% কিংবা এর থেকেও বেশি সুদের হারের বিনিময়ে।
আপনি বিনামূল্যেই এই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে পারবেন।
শুধুমাত্র লোনের এমাউন্ট এবং আধার কার্ড নম্বর দিলেই আপনি ধানি থেকে টাকা লোন নিতে পারবেন।
৪. Capital First Limited:
ইন্টারেস্ট রেট- ১.১৬-১.৩৩%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ১ লাখ-২৫ লাখ পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৪.৪
ক্যাপিটাল ফার্স্ট লিমিটেড হল ভারতের অন্যতম সেরা ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ্লিকেশন।
এখানে আপনার লোনের আবেদনের মঞ্জুরি হতে মাত্র ২ মিনিট লাগে।
এই কোম্পানিটি আপনাকে ১ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত লোন শোধের মেয়াদ দিয়ে থাকে।
এখানে আপনি ১ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন।
আপনি যদি এই অ্যাপ্লিকেশনের বর্তমান গ্রাহক হয়ে থাকেন, তবে সহজেই আপনার লোন একাউন্টের বিবরণ, স্টেটমেন্টের বিবরণ ও সার্ভিস রিকোয়েস্ট দাবী করতেই পারেন।
এছাড়াও, আপনি এখান থেকে পেমেন্টের তারিখ ও বকেয়া ব্যালান্স-এর তথ্য সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
৫. PaySense:
ইন্টারেস্ট রেট- ১.৪-২.৩৩%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ৫০০০ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৪
পেসেন্স হল একটা সহজ ইনস্ট্যান্ট মানি অ্যাপ, যার সাহায্যে আপনি কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত ক্যাশ লোন পেয়ে যাবেন।
আপনি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের সাহায্যে নিজের ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা পরিমাপ করে নিতে পারবেন।
এখানে আপনার কেওয়াইসি-এর বিবরণ ও লোনের পরিমাণ বলে দিলেই, ঘন্টা পাঁচেকের মধ্যেই লোন পেয়ে যাওয়া সম্ভব।
আপনি ৫০০০ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে।
এখানে ইএমআই ক্যালকুলেটরের সাহায্যে আপনি সহজেই আপনার প্রতি মাসের বকেয়া টাকার হিসেব সম্পর্কে জেনে যাবেন।
৬. KreditBee:
ইন্টারেস্ট রেট- ২-৩%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ১০০০ থেকে ১ লাখ পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৪.৫
ক্রেডিটবী হল ভারতের যুবক পেশাদারদের জন্যে সেরা ইনস্ট্যান্ট পার্সোনাল লোন অ্যাপ্লিকেশন।
এই অ্যাপ থেকে আপনি প্রায় ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন।
এখানকার লোন প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতিটি ১০০%-ই অনলাইনে হয়ে থাকে।
আপনি ১৫ মিনিটের মধ্যেই এই অ্যাপের থেকে লোনের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কের একাউন্টে পেয়ে যাবেন।
৭. SmartCoin:
ইন্টারেস্ট রেট- ২.৫-৩%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ১০০০ থেকে ২৫,০০০ পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৪
এই স্মার্টকয়েন অ্যাপটি হল একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব ঋণ প্রদানের প্ল্যাটফর্ম।
এখানে আপনি সহজেই শর্ট-টার্ম পার্সোনাল লোন পেয়ে যেতে পারেন।
স্মার্টকয়েনের মিনি লোন অ্যাপটির সাহায্যে ১০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যেতে পারে।
এখানে কোনো রকমের বেতনের নূন্যতম সীমা ছাড়াই লোন পাওয়া সম্ভব।
এই অ্যাপটি ব্যবসায়ী, সাপোর্ট এক্সিকিউটিভ, বেতনভোগী পেশাদার, ম্যানেজার, শিক্ষক ও গৃহ-থেকে-কর্মরত মেয়েদেরকেও, সহজে লোন দিয়ে থাকে।
৮. mPokket:
ইন্টারেস্ট রেট- ৩.৫% থেকে শুরু
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ৫০০ টাকা
অ্যাপ রেটিং- ৪.৫
এমপকেট হল ভারতীয় কলেজ পড়ুয়াদের জন্যে সেরা ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ্লিকেশন।
এই অ্যাপটি ছাত্রদের কাছে পকেট মানির মতো কাজ করে।
আপনি এখানে ব্যাঙ্ক একাউন্টে বা পেটিএম ওয়ালেটের মাধ্যমে লোনের টাকা পেয়ে যেতে পারেন।
এখানে আপনি প্রথমে ৫০০ টাকার মতো লোন পাবেন।
এরপর সময়ের সাথে সাথে লোনের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন।
এখানে ১ থেকে ৩ মাসের মধ্যে লোনের টাকা শোধ করতে পারেন।
৯. Rupees Land:
ইন্টারেস্ট রেট- ২-৩%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ২০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৪.৬
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রুপীস ল্যান্ড অ্যাপটি শর্ট-টার্ম ক্রেডিট লোনের জন্যে যথেষ্ট ভালো একটা অ্যাপ্লিকেশন।
এই পার্সোনাল লোন অ্যাপটি লোনের আবেদন করার মিনিট তিনেকের মধ্যেই ঋণের টাকা আপনার কাছে পৌঁছে দিতে পারে।
শর্ট-টার্ম লোনের ক্ষেত্রে এই অ্যাপটি যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ।
১০. EarlySalary:
ইন্টারেস্ট রেট- ২-২.৫%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ৩০০০ থেকে ২ লাখ পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৪.২
লোন পাওয়ার সহজ উপায়গুলোর মধ্যে আর্লিস্যালারি অ্যাপটি আপনাকে দ্রুত ও সহজভাবে লোন পাইয়ে দিতে সক্ষম।
মাসে ২% বা এর থেকে বেশি সুদের হারের বিনিময়ে আপনি এই অ্যাপ্লিকেশনটির থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
১১. Money View:
ইন্টারেস্ট রেট- ১.৩৩-২%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ১০,০০০ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৪.৩
মানি ভিউ পার্সোনাল লোন অ্যাপের মাধ্যমে আপনি মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যেই ব্যক্তিগত ঋণ পেয়ে যেতে পারেন।
এখানে আপনি সম্পূর্ণ পেপারলেসভাবে দ্রুত ও সহজভাবে ব্যক্তিগত ঋণের আবেদন করতে পারবেন।
এখানে আপনি ১০,০০০ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত টাকা লোন পেতে পারবেন।
আপনি ৩ থেকে ৫ মাসের মধ্যে এই লোন শোধ করতে পারবেন।
১২. PayMe India:
ইন্টারেস্ট রেট- ২-৬%
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ১,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৪
এই অ্যাপটি আকর্ষণীয় সুদের হারে, বেতনভোগী কর্মচারীদের ইনস্ট্যান্ট পেডে লোন, অগ্রিম পে লোন ও শর্ট-টার্ম নগদ ঋণ প্রদান করতে পারে। এই নগদ লোনগুলো আপনার সমস্ত শর্ট-টার্ম আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে।
লোনের আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করার জন্য এই অ্যাপে প্রথাগত ও আধুনিক লোন কৌশল প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে।
এই অ্যাপের নগদ লোন প্রক্রিয়া যথেষ্ট সুবিধাজনক।
আর, আপনি এখানে নমনীয়তার সাথে পরিশোধের পরিকল্পনাও পেয়ে যাবেন।
১৩. Flexsalary:
ইন্টারেস্ট রেট- প্রতি মাসে ৩% পর্যন্ত
নূন্যতম ও সর্বোচ্চ লোনের সীমা- ৪০০০ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত
অ্যাপ রেটিং- ৪.১
ফ্লেক্সস্যালারি আপনাকে সহজ উপায়ে এককালীন আবেদন, এককালীন অনুমোদন, ইনস্ট্যান্ট ঋণ, এমনকি যেকোনো সময়ে ক্রেডিট অ্যাক্সেস করার বিকল্প দিয়ে থাকে।
এছাড়াও, আপনি এই অ্যাপের সাহায্যে ঋণের মেয়াদ নির্ধারণ করার বিকল্প ও একটা নমনীয় পরিশোধের নীতি পেয়ে যেতে পারবেন।
এই কোম্পানির নির্দিষ্ট কোনো ইএমআই নেই আর এখান থেকে আপনি ইনস্ট্যান্ট লোনের অনুমোদন পেতে পারেন।
ফ্লেক্সস্যালারি অ্যাপটি এক ধরণের অগ্রিম বেতন ঋণ হিসেবে কাজ করে।
পরিশেষে:
অনলাইনে দ্রুত ক্যাশ লোনের জন্য বিভিন্ন নগদ ঋণ অ্যাপের মধ্যে অনলাইন অনুসন্ধান ও তুলনা ভারতে অনলাইন লোন পাওয়ার উপায়ের মধ্যে প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখনকার সময় সত্যিই পরিবর্তিত হচ্ছে – আর এই ঋণ অ্যাপগুলো নিশ্চিত করে যে, ভারতে এখন দ্রুত ও সহজে নগদ ঋণ পাওয়া সত্যিকারেই সম্ভব।
আমাদের আজকের অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় গুলো নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল।
লেখাটি পছন্দ হলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
Comments (No)