ক্যারিয়ার হিসেব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কেমন ? 2

আসসালামু ‘আলাইকুম,

নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লি আলা রাসুলিহিল কারিম, আম্মা বা’দ।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইলে একজন শিক্ষার্থীকে কি ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। অনেক শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং প্রবলেম সল্ভিং কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কমার্শিয়াল প্রজেক্ট করা উচিত নাকি (PHP/.NET/Java/Ruby/NodeJS/JavaScript/Android/iOS/C) বেছে নিয়ে তার উপর স্পেশালাইজেশন তৈরি করা উচিত।

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির উৎকর্ষসাধন ও ব্যাপক ব্যবহারের মূলে রয়েছে কম্পিউটার। নানাবিধ ব্যবহার, দ্রুত গতি, অসীম তথ্যভাণ্ডার, সময় ও ব্যয় হ্রাস প্রভৃতি সুবিধার কারণে বর্তমানে প্রায় সব ধরনের কাজই কম্পিউটারনির্ভর হয়ে পড়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, বিনোদন, যোগাযোগ প্রভৃতি খাতে আজ কম্পিউটার একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ যেসব প্রোগ্রাম রয়েছে যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন হয় তাকে বলা হয় সফটওয়্যার।

ক্যারিয়ার হিসেব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কেমন ? 3

আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী সফটওয়্যার তৈরি হয় এবং ব্যবহারকারী প্রয়োজন অনুযায়ী তার কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইনস্টল করে রাখে। আর নাকি যারা সফটওয়্যার তৈরি করেন এবং এর ব্যবহারগত সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করেন তাদের বলা হয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা নতুন নতুন ব্যবহার ক্ষেত্র, ব্যবহারে বৈচিত্র্য, বাজার চাহিদা, অধিকতর কার্যক্ষমতা ও আধুনিকতা প্রভৃতি মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সফটওয়্যার তৈরি করে থাকেন। এই কাজটিই করে থাকেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা।

দিন দিন শুধু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সতুরাং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় পেশা হচ্ছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং।

আয় : সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং একটি সম্মানজনক বিশেষায়িত পেশা। তাই আয়ের সুযোগও এখানে অনেক। বিভিন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপার কোম্পানিতে বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে নিয়মিত কাজ করলে গড়ে মাসিক পনের হাজার থেকে এক লাখ টাকা সম্মানী পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চুক্তিভিত্তিক কাজ বা নিজস্ব সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে আপনার কার্যক্ষমতা অনুযায়ী আনলিমিটেড আয়ের সুযোগ রয়েছে।

পড়াশোনা ও যোগ্যতা : সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে অবশ্যই এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা থাকতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা হিসেবে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলে ভালো। এরপর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি নিতে হবে। সরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ