জানুন হেডফোন ব্যবহারের কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা 1

বর্তমান সময়ে হেডফোন ছাড়া আমাদের একদিনও চলে না। গান শোনা থেকে শুরু করে কথা বলা, ভিডিও কলিং, মেসেঞ্জার, স্কাইপেসহ নানা স্থানে বন্ধু এবং আপনজনের সাথে কথা বলতে চাই হেডফোন। আপনি যখন বাসে কিংবা গাড়িতে থাকেন বেশিরভাগ সময়ই কাটে যানজটের দীর্ঘ লাইনে। সেই সময় আপনার বন্ধু হয়ে থাকে আপনার এই বন্ধু হেডফোন। তবে এই বন্ধুর যেমন আছে উপকারী দিক তেমনি আছে কিছু অপকারিতাও।

উপকারিতা

দীর্ঘ বিরক্তিকর সময় খুব সহজেই পার করতে হেডফোনের জুড়ি নেই। আপনি যত বিরক্তির অবস্থায়ই থাকুন না কেন আপনার এই বন্ধু আপনাকে রাখবে শুধুমাত্র আপনার রাজ্যে। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল দেখতে হলেও চাই হেডফোন। জার্নিতে কথা বলতে গেল দেখা যায় হাত আটকা থাকার কারণে ফোন ধরা যায় না। কথা বলা যায় না। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করে আপনার হেডফোন। বিভিন্ন রেডিও চ্যানেলে গান শোনা বর্তমানে তরুণদের পছন্দের শীর্ষে। সেই স্থান থেকে আপনি সাহায্য পাচ্ছেন হেডফোনের। সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত থাকতে আপনাকে অনেকাংশেই সাহায্য করে আপনার এই হেডফোন।

অপকারিতা

উপকারের পাশাপাশি এর কিছু অপকারিতাও আছে। দীর্ঘ সময় কানে হেডফোন গুজে রাখলে কানে দাগ পড়ে যায়। তার সাথে সাথে থাকে ব্যথা। তাই কানের ওপর যাতে চাপ কম পড়ে এবং হেডফোনের কভার নরম হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। তাছাড়া অনেকেই মোটরসাইকেল চালানো কিংবা গাড়ি ড্রাইভিং করার সময় কানে হেডফোন লাগিয়ে কথা বলেন যা আপনার জন্য হুমকির কারণ। এর কারণে যেকোনো মুহুর্তে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর পাশাপাশি রাস্তা পারাপারের সময় কানে হেডফোন না রাখাই ভালো। এতে উপকারের বদলে অপকার হবে। অনেকেই উচ্চ ভলিউমে গান শোনেন যা শ্রবণশক্তি নষ্টের কারণ। তাই স্বাভাবিক ভলিউমে গান শুনুন।

বাজারে বিভিন্ন দামের হেডফোন পাবেন। ১০০ থেকে শুরু করে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে হেডফোনের ব্র্যান্ডে মোহিত না হয়ে আপনার ফোনে এডজাস্ট হচ্ছে কী না তা দেখুন। কম দামী হেডফোন ব্যবহার না করাই ভালো। এর এয়ারবাডগুলো শক্ত হয়ে থাকে। যা কানে ব্যথার কারণ। অল্প আওয়াজে গান শুনুন। আর কানে কোনো সমস্যা হচ্ছে এমনটি মনে হলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ